লালমনিরহাটে তিস্তার পানি কমলেও দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন
পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি কমলেও দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। ভাঙনের ফলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় গড্ডিমারী, চর গড্ডিমারী, চর ধূবনী, হলদিবাড়ি, বিছন দই, ডাউয়াবাড়ি, বিছন দই এলাকায় প্রতিদিন নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে শত শত ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, গাছপালা, রাস্তাঘাট। বিচ্ছিন্ন রয়েছে তালেব মোড়ে হাতীবান্ধা-বড়খাতা বাইপাস সড়কটি।
শনিবার বিকেল ৫টায় তিস্তা নদীর পানি ব্যারেজ এলাকায় বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পাউবো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও তীব্র ভাঙনের ফলে শত শত পরিবার ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন নিরাপদ স্থানে। অনেক পরিবার বাঁধের রাস্তায় আশ্রয় নিয়ে চার দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে বাস করছে। জেলায় তিস্তার পানি প্রবেশ করে কয়েক হাজার একর আমন ধানের ক্ষেতসহ অনেক ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। চর এলাকা রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন রয়েছে। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
শনিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের, চর গড্ডিমারী গ্রামের সাইফুল ইসলাম, রানা মিয়া, আনোয়ার, সুমন মিয়া, সাবু মিয়া তিস্তা নদীর ভাঙনের ফলে তাদের ঘরবাড়ি নিরাপদ স্থনে সরিয়ে নিচ্ছেন।
চর গড্ডিমারী গ্রামের ভ্যান চালক সফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, আজ ৪ দিন ধরে পানিবন্দী অবস্থায় আছি। চারদিনে এক পোয়া চিড়া ও ১০ কেজি চাল পেয়েছি মাত্র। একই গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ৪ দিনে কিছুই পাইনি।
গড্ডিমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বুলু জাগো নিউজকে জানান, চার দিনে ৭ ইউনিয়নে প্রায় এক হাজার পরিবারে ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর জন্য ত্রাণের জন্য আবেদন জানিয়েছি।
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফৌরদোস আলম জাগো নিউজকে জানান, তিস্তার ভাঙন রোধে রাস্তাঘাটে বালির বস্তা ও বাঁশ দিয়ে পাইলিং তৈরি করে ভাঙন রোধ করা হচ্ছে।
রবিউল হাসান/এমজেড/আরআই