কক্সবাজার বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ কাজ শুরু
কক্সবাজারে পর্যটন উন্নয়নে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দাবি দীর্ঘদিনের। পর্যটন বিকাশে এর বাস্তবতা অনুধাবন করতে পেরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ঘোষণা দেন ব্রিটিশ আমলে তৈরি কক্সবাজারের ছোট্ট বিমানবন্দরকে বিশ্বমানে উন্নীত করার। প্রধানমন্ত্রী যতবার কক্সবাজার এসেছেন ততবারই এ ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর থেকে শুরু হওয়া প্রতীক্ষার পালা শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কক্সবাজার বিমানবন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের ল্যান্ড সাইড (কার পার্কিং) স্থানে ওই ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ড. অনুপম সাহা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অতিথি থাকবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। এ উপলক্ষে দুই মন্ত্রী বুধবার কক্সবাজার পৌঁছেছেন।
সূত্র জানিয়েছে, প্রথম ধাপের এই উন্নয়ন কাজের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৪৯ কোটি ৬৪ লাখ ২১ হাজার টাকা। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এর কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল জাগো নিউজকে জানান, কক্সবাজারকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের যাত্রা শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। জেলার প্রতিটি উন্নয়ন কাজ সরাসরি প্রধানমন্ত্রী তদারকি করেন। এরই ধারাবাহিকতায় দু’মন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিমানবন্দর উন্নয়নের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
দুই মন্ত্রীর সঙ্গে এসময় সাংসদ মঈনউদ্দিন খান বাদলেরও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
সিভিল অ্যাভিয়েশন সূত্র জানায়, এপিপির আওতায় কক্সবাজার বিমানবন্দরের ১ম পর্যায়ে রানওয়ে বর্ধিতকরণ ও প্রস্তুতকরণের কাজ হবে। এর পাশাপাশি বাড়ানো হবে রানওয়ের পিসিএস স্থাপিত হবে নতুন ভিওআর, ডিএমই ও আইএলএস, এয়ার ফিল্ড গ্রাউন্ড ও লাইটিং সিস্টেম। এছাড়া বিমানবন্দরের চারপাশের ভাঙা দেয়ালও মেরামত হবে।
কক্সবাজার বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে এ প্রকল্পের আওতার ছোট ছোট কাজগুলো শুরু হয়েছে। সীমানা প্রাচীরের ভাঙা অংশে নির্মিত হয়েছে দেয়াল। প্রাথমিক কাজ চললেও মূল কাজ শুরু হবে ২ জুলাইয়ের পর।
সূত্র আরো জানায়, বর্তমান ৬ হাজার ৭৭৫ ফুট দৈর্ঘের রানওয়ে ৯ হাজার ফুটে উন্নিত করা হবে। প্রস্থতা ১৫০ ফুট হতে বাড়ানো হবে ২০০ ফুট। এর পাশাপাশি বাড়ানো হবে রানওয়ের পিসিএনও।
প্রথম পর্যায়ের উন্নয়ন কাজে নতুন ভিওআর, ডিএমই ও আইএলএস, এয়ার ফিল্ড গ্রাউন্ড ও লাইটিং সিস্টেম স্থাপিত হবে। বর্তমানে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ চলছে।
মহেশখালি-কুতুবদিয়া আসনের সরকার দলীয় সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক জানান, বুধবার দুপুরে দু’মন্ত্রী কক্সবাজার পৌঁছেছেন। ইতোমধ্যে অনুষ্ঠান স্থল সাজানো হয়েছে।
সায়ীদ আলমগীর/এমজেড/পিআর