জাতীয় পরিবেশ নীতি ২০১৫-এর খসড়া প্রস্তুত


প্রকাশিত: ১১:৫০ এএম, ২৪ জুন ২০১৫

পরিবেশকে উন্নয়নের মূল ধারায় আনার জন্য পরিবেশ নীতি ১৯৯২ সংশোধন ও পরিমার্জন করে জাতীয় পরিবেশ নীতি ২০১৫-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় পরিবেশ কমিটির নির্বাহী কমিটি এ খসড়া পর্যালোচনা করে অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতত্বে গঠিত জাতীয় পরিবেশ কমিটিতে প্রেরণ করবে।

‘জাতীয় পরিবেশ কমিটির নির্বাহী কমিটি’র এক সভায় খসড়া জাতীয় পরিবেশ নীতি ২০১৫ পর্যালোচনা করা হয়। পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বুধবার এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার বলা হয়, জাতীয় পরিবেশ নীতি ১৯৯২-কে যুগোপযোগী করার জন্য জাতীয় পরিবেশ নীতি ২০১৫-তে নতুন ৯টি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিষয়গুলো হচ্ছে বায়ু, পাহাড় প্রতিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও প্রতিবেশ ব্যবস্থা সংরক্ষণ এবং জীব নিরাপত্তা, প্রতিবেশ বান্ধব পর্যটন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবস্থাপনা, অন্যান্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন।

নতুন পরিবেশ নীতিতে পরিবেশ বান্ধব উন্নয়ন, পরিবেশ প্রতিবেশের উপর সম্ভাব্য হুমকির কথা চিন্তা করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে দিক-নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বর্তমান সরকারের উদ্যোগে সংবিধানে পরিবেশের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সংবিধানকে সমুন্নত রেখে পরিবেশ বান্ধব উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিবেশ বিপর্যয়, নানাবিধ দুর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং প্রাকৃতিক সম্পদের সীমাবদ্ধতার নিরিখে কাঙ্ক্ষিত টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা নতুন পরিবেশ নীতিমালার উদ্দেশ্য। এতে সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে গৃহীত পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নের বিষয়টি জাতীয় নীতিসমূহে প্রতিফলিত হবে।

এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।