তামাকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তোলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩১ পিএম, ৩০ মে ২০১৫
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তামাকের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী জনসচেতনতা গড়ে তুলতে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। শেখ হাসিনা বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে শনিবার এক বাণীতে এ আহ্বান জানান তিনি।

তামাকের পাশাপাশি মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদের প্রয়োজন একটি সুস্থ সবল জনগোষ্ঠী। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার পরিহার করে আমরা সেই আদর্শ জনগোষ্ঠী পেতে পারি। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন, ধূমপান বর্জন ও দেশব্যাপী তামাকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে আমি সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।’

তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও রোববার ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। কারণ তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার দেশের জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতির জন্য মারাত্মক হুমকি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে তিলে তিলে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। ধূমপান ও তামাক সেবনে ক্যান্সার, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

মানুষের মৃত্যু এবং শারীরিক কর্মক্ষমতা হারানোর অন্যতম বড় কারণ ধূমপান একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তার নেতৃত্বাধীন সরকার তামাক সেবনের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ নানামুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছে। আইনটির কার্যকর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিধিমালা পাস করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী তামাকের ধোঁয়া থেকে অধূমপায়ীদের রক্ষায় সকল কর্মক্ষেত্রকে পাবলিকপ্লেসের আওতায় আনার উদাহরণ টেনে বলেন, শিশুদের তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য এ আইনে শিশুদের নিকট বা তাদের মাধ্যমে তামাকজাত দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তামাক সেবনে উৎসাহ সৃষ্টিকারী প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইন লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালানোর ক্ষেত্রে শাস্তির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।

ধূমপায়ীদের তামাকের ব্যবহার হতে বিরত রাখতে প্যাকেটে সচিত্র ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদান নিশ্চিত করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ক্ষতিকর তামাকজাত দ্রব্যের ওপর স্বাস্থ্যকর হিসেবে ১ শতাংশ সারচার্জ আরোপ করেছি। আসুন বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসে আমরা যে কোন ধরনের তামাককে না বলি।’ তিনি বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

এসএইচএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।