‘প্রতিটি উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল-কলেজ স্থাপন করা হবে’


প্রকাশিত: ০৭:০৯ এএম, ২৯ জুন ২০১৭

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, কারিগরি শিক্ষা প্রসারে সরকার দেশের প্রতি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীকে আধুনিক ও দক্ষ মানবনসম্পদে রূপান্তর করতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। সরকার সে বিবেচনায় কারিগরি শিক্ষা প্রসারে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। প্রথম পর্যায়ে ইতোমধ্যে ১০০টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৪২টির নির্মাণ কাজ শুরুর জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে এবং ৪টির কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

সরকারি দলের সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে ছাত্রী এনরোলমেন্টের হার ১০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে এবং টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজগুলোতে ভর্তিকৃত ছাত্রীর সংখ্যা ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের তুলনায় ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের অধীনে বর্তমানে ৪টি বিভাগীয় সদরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা) ৪টি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট চালু রয়েছে। অবশিষ্ট ৪টি বিভাগীয় শহরে ৪টি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও ৮টি বিভাগীয় শহরে ৮টি মহিলা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপনের প্রকল্প প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে পরিকল্পনা কামিশনে পাঠানো হয়েছে।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ডিপ্লোমা পর্যায়ে শিক্ষায় ভর্তির ক্ষেত্রে নারীদের জন্য ২০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৭৬৪ জন, ২০১৯ সালে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৭২২ জন এবং ২০২০ সালে ৬ লাখ ৪৭ জন ছাত্রী ভর্তির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এইচএস/এনএফ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।