যশোরে প্রাথমিকের বই এখনো পায়নি চার সহস্রাধিক শিক্ষার্থী


প্রকাশিত: ০৩:৩৭ পিএম, ১৭ মে ২০১৫

বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই দেয়ার কথা থাকলেও যশোরে শিক্ষাবর্ষের সাড়ে চার মাসে প্রাথমিকের প্রায় সাড়ে চার হাজার শিক্ষার্থী বই পায়নি। মন্দিরভিত্তিক শিশু গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় পড়াশোনা করা এই শিক্ষার্থীদের বই না দেওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, তাদের বই এখন ছাপার কাজ চলছে। এ মাসের শেষ দিকে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়া সম্ভব হবে।

সূত্র মতে, মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের আদলে ৯০ এর দশকে যশোরে চালু হয় মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন এ শিক্ষা কার্যক্রম প্রথমে অল্প পরিসরে শুরু হলেও বর্তমানে সারাদেশে ১ হাজার মন্দিরে এ শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে। যশোর জেলার ৮টি উপজেলায় বর্তমানে এ ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৩৯টি। যার মধ্যে ১৩৪টি শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য এবং অবশিষ্ট ৫টি বয়স্কদের জন্য। প্রতিটি কেন্দ্রে ৩০ জন শিক্ষার্থী হিসেবে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ হাজার ১৭০ জন। যারমধ্যে চার হাজার শিশু শিক্ষার্থী রয়েছে। চার থেকে ছয় বছরের শিশু শিক্ষার্থীরা এখানে তাদের শিক্ষাজীবন শুরু করে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী জানুয়ারির প্রথম দিনটিতে সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার কথা। কিন্তু, সাড়ে চার মাস অতিবাহিত হলেও এসব শিক্ষার্থী এখনো বই পায়নি। কোথাও কোথাও পুরাতন বই আবার কোথাও বইয়ের ফটোকপি করে চালানো হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। কবে নাগাদ নতুন বই পাওয়া যাবে তার কোনো সদুত্তর দিতে পারছেন না শিক্ষক বা কর্মকর্তারা।

এবিষয়ে মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে যশোরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মন্ডল জানান, প্রাথমিকের অন্য শিক্ষার্থীদের মতো তাদের এবার জেলা শিক্ষা অফিস থেকে বই দেওয়ার কথা ছিলো। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে তাদের দপ্তরে আসে। এই চিঠি জেলা শিক্ষা অফিসে দিলেও তাদের বই দেয়া হয়নি। পরে তারা ঊর্ধ্বতন মহলে বিষয়টি জানান। সেখানে থেকে এখনো বই আসেনি। তারা শুনেছেন বই এখন ছাপা হচ্ছে। এমাসের শেষে শিক্ষার্থীরা নতুন পাঠ্যপুস্তক পাবেন।

এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।