বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবি


প্রকাশিত: ০৮:২৬ এএম, ২২ মে ২০১৭

সারাদেশের বাদ পড়া বেসরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলো জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।

সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তৃতীয় তলায় এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের শিক্ষক নেতারা এ দাবি জানান। সারাদেশ থেকে আসা অন্তত চার শতাধিক শিক্ষক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আ স ম জাফর ইকবাল বলেন, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। কিন্তু তৃতীয় ধাপে উপজেলা ও জেলা যাচাই-বাছাই কমিটির সুপারিশ করা বিদ্যালয়গুলো বাদ দিয়ে চলতি বছরের ২৩ মার্চ ৩০৩টি অযোগ্য বিদ্যালয়ের গেজেট প্রকাশ করা হয়। ইতিপূর্বে ইউএনডিপি পরিচালিত ২১০টি বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হলেও ২৬ হাজার ১৯৩টি স্কুল জাতীয়করণের বাইরে রাখা হয়েছে।

তিনি দুঃখের সঙ্গে বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ ও কেন্দ্রীয় টাস্কফোর্স জাতীয়করণ কমিটি সরকারিভাবে যাচাই-বাছাই করা হলেও আমাদের বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়নি। ফলে সারাদেশে যাচাই-বাছাই করা এক হাজার ৩০০ বিদ্যালয় জাতীয়করণ থেকে বঞ্চিত রয়েছে। এছাড়া সরকারের সব শর্ত পূরণ করার পরও আরও বেশকিছু স্কুল জাতীয়করণের বাইরে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ ৯৬০টি বিদ্যালয় জাতীয়করণের তালিকাভুক্ত ছিল। তদন্তের মাধ্যমে ৫৩৩টি বিদ্যালয় তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণ করা হয়। এরপর আরও ৩১১টি অযোগ্য স্কুল রাতারাতি জাতীয়করণ করা হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে খবর প্রকাশ হয়েছে। এ অবস্থায় আমরা প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে কর্মরত শিক্ষকদের বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য জাতীয়করণযোগ্য যাচাই-বাছাই সমাপ্তকৃত বিদ্যালয়সহ বাদ পড়া বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

স্কুল জাতীয়করণের দাবিতে এ সময় তিনি বেশকিছু কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এর মধ্যে ২৫ মে জেলা প্রশাসক ও প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি পেশ, ১২ জুন বিভাগীয় কমিশনার, ১০ জুলাই মহাপরিচালক এবং ১১ জুলাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেয়া হবে। এছাড়া ২৪ জুলাই ঢাকায় মানববন্ধন ও প্রধামন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেয়া হবে।

অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে আসা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, আমাদের পাশের স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির টাকা পায়, শিক্ষকরা বেতন পায়। কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীরা যখন আমাদের কাছ থেকে উপবৃত্তির টাকা ও সন্তানরা প্রাইভেটের জন্য টাকা চায় আমরা দিতে পারি না। তখন আমাদের কলিজা দুঃখে ভরে যায়। অথচ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রতিটি গ্রামে অন্তত একটি করে স্কুল করে দেবেন। এখনও অনেক ইউনিয়নেও সরকারি স্কুল হয়নি।

সংগঠনের সভাপতি মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদ পাটোয়ারী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শাহনাজ ফারভিন, মোতাহারুল ইসলাম, উচিৎমৎ মারমা, আনোয়ারুল ইসলাম। এছাড়া বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ খোকন, মো. লুৎফুর রহমান, সুমন কুমার চাকী, পরেশ চন্দ্র রায়, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. ছালেহ উদ্দিন, মো. বদরুল আলম ফরহাদ প্রমুখ।

এমএসএস/এমএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।