উচ্চশিক্ষায় গবেষণা ও জ্ঞান চর্চা বাড়াতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী


প্রকাশিত: ০২:৪৬ পিএম, ১৮ মে ২০১৭

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সরকার উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন এবং উচ্চতর গবেষণার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে বিদেশ থেকে প্রযুক্তি আমদানি কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

মন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঢাকায় জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) অডিটোরিয়ামে শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন শিক্ষাখাতে উচ্চতর গবেষণা সহায়তা কর্মসূচি সংক্রান্ত কর্মশালা ও চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গবেষণা ও জ্ঞান চর্চা বাড়াতে হবে। বদলাতে হবে ‘প্রযুক্তি ও জ্ঞান’ শুধু আমদানি করার মানসিকতা। নিজস্ব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আমাদের নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও তা ব্যবহার করতে হবে। জ্ঞান ও প্রযুক্তি রফতানি করার পর্যায়ে আমাদের পৌঁছাতে হবে।

তিনি বলেন, উচ্চতর এবং ফলিত গবেষণার জন্য ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১১৩টি গবেষণা প্রকল্পে ২১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এছাড়া চলমান গবেষণা কার্যক্রমের আওতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আরও ১৫ কোটি ৩৯ লাখ ৯২ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, নায়েম মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. হামিদুল হক, গবেষণা বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান ড. মেসবাউদ্দিন আহম্মেদ এবং ব্যানবেইসের পরিচালক মো. ফসিউল্লাহ।

পরে মন্ত্রী ১৬৬টি গবেষণা প্রকল্পের জন্য মোট ১২ কোটি ৬০ লাখ ২২ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন। এর মধ্যে ১০টি প্রকল্পের ৩য় কিস্তি, ৮০টি প্রকল্পের ২য় কিস্তি এবং ৭৬টি প্রকল্পের প্রথম কিস্তির চেক রয়েছে। গবেষণা প্রকল্পের অনুদান, মুখ্য গবেষক ও সহকারী গবেষকের সম্মানি হিসেবে এ চেক দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, গাণিতিক বিজ্ঞান, জীবন সম্পর্কিত বিজ্ঞান, ভৌত বিজ্ঞান, মেরিন সাইন্স, সামাজিক বিজ্ঞান, আইসিটি, এসডিজি এবং সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক গবেষণার জন্য এ অনুদান দেয়া হচ্ছে।

এমএইচএম/এমএমজেড/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।