প্রাথমিকের পাঠ্যপুস্তকে ভুল : শুদ্ধিপত্র তৈরি
প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ে ভুল-ভ্রান্তির উপর শুদ্ধিপত্র তৈরি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। বুধবার তা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)।
এতে দেখা গেছে, তিনটি শ্রেণির ৫টি বিষয়ের বইয়ে ৯ স্থানে ভুল চিহ্নিত করে সঠিক তথ্য দেয়া হয়েছে। তবে ছাগল সংক্রান্ত বহুল বিতর্কিত বিষয়সহ আরও কয়েকটি ক্রটি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
শুদ্ধিপত্রে তৃতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়ে কবি কুসুমকুমারী দাশের আদর্শ ছেলে কবিতা ঠিক করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি এতে কবিতা প্রকাশের মূলসূত্র উল্লেখ করা হয়েছে।
তৃতীয় শ্রেণির হিন্দু ধর্ম বইয়ের শেষ কাভারে ‘কাউকে কষ্ট দিও না’ ইংরেজি অনুবাদ DO NOT HEART ANYBODY করা হয়েছিল। শুদ্ধিপত্রে HEART সংশোধন করে Hurt দেয়া হয়েছে।
একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ে বঙ্গবন্ধুর মায়ের নামের ভুল সংশোধনী দিয়ে বলা হয়েছে, সঠিক নাম ‘সায়েরা খাতুন’।
পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বইয়ের ৩ নম্বর পৃষ্ঠায় ছিল সমুদ। এটি ‘সমুদ্র’ পড়তে বলা হয়েছে শুদ্ধিপত্রে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ের ২ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘ঘোষনা’এর পরিবর্তে ‘ঘোষণা’ এবং প্রথম শ্রেণির বাংলা বিষয়ে ৫৩ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘মৌ’এর পরিবর্তে ‘মউ’পড়তে বলা হয়েছে।
প্রথম শ্রেণির বাংলা বইয়ে ছবি দিয়ে দেখানো হয়েছে ছাগল গাছে উঠে আম খায়। পাশাপাশি ছাগলের পরিচয় বোঝাতে দুর্বোধ্য শব্দ ‘অজ’ব্যবহার করা হয়েছে। এ নিয়ে শুদ্ধিপত্রে কিছু বলা নেই।
পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ের ১৯ পৃষ্ঠায় বাহাদুর শাহ পার্কের নির্মাণ সময় ১৯৫৭ সালের বদলে ১৯৪৭ লেখা হয়। ১৯ পৃষ্ঠায় লেখা হয় ‘১৯ শতকে এই পার্কের নাম পরিবর্তন করে ভিক্টোরিয়া পার্ক রাখা হয়’। সঠিক তথ্য হবে ‘বিশ শতকে’। এ নিয়েও কোনো কথা নেই শুদ্ধিপত্রে।
এ প্রসঙ্গে এনসিটিবি চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘আমরা শুদ্ধিপত্রে যা দিয়েছি এর বাইরে আর যা আছে তা আমরা পরিমার্জন করব। বাকিগুলো শুদ্ধিপত্র দেয়ার মত নয়।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ের ব্যাপারে আমরা এখন পর্যন্ত শুদ্ধিপত্র দেয়ার পর্যায়ে যাইনি। আসলে সেখানেও বড় তেমন ভুলত্রুটি নেই, যা আছে তা পরিমার্জনে ঠিক করা হবে।’
এমএইচএম/ওআর/পিআর