মনিপুর স্কুলে চলছে তিন দিনের বিজ্ঞান মেলা
ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের আসর বসেছে রাজধানীর মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে। অভিনব নানা আবিষ্কার নিয়ে ঢাকাসহ তিন জেলার ৩৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এবারের বিজ্ঞান মেলায় অংশ নিচ্ছে।
একইসঙ্গে স্কুল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বই মেলা, পাখি মেলা এবং চারু ও কারুশিল্প প্রদর্শনী।
গত মঙ্গলবার তিন দিনব্যাপী এ মেলা ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এ আয়োজনে স্পন্সর হিসেবে রয়েছে প্রাণ মি. ম্যাংগো।
বিজ্ঞান মেলার মনিপুর স্কুলের সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া ফাইমা রহমান সরদার ও সুজাতা মন্ডল তৈরি করেছে স্বল্পমূল্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী স্মার্ট এনার্জি এবং ইজি টান্সফার পদ্ধতি। এতে সৌর তাপ, বাতাস ও অন্যান্য তাপ দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। সেই বিদ্যুৎ বিনা তারে সরবরাহ করা হবে। তা দিয়ে সব ধরনের বৈদ্যুতিক ডিভাইস চালানো সম্ভব হবে।
এটি বানাতে সাত দিন সময় লেগেছে উল্লেখ করে তারা জানায়, লেন, যে কোনভাবে তাপ ও বাতাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। তাই দিনে বা রাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। মাটির নিচে একটি কয়েল বসিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে। ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে এটি ঝুকিমুক্ত।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির দুই খুদে বিজ্ঞানী কারেরি বিশ্বাস ও জেরিন তাসরিন। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি প্রসাধনী নিয়ে মেলায় এসেছে তারা।
তারা জানায়, রূপ সচেতন মানুষের কথা চিন্তা করে প্রাকৃতিক বিভিন্ন খাদ্য-ফল জাতীয় দ্রব্য দিয়ে ত্বকের ক্ষতিরোধ করে এমন প্রসাধনী বানিয়েছে তারা।
সৌরশক্তি চালিত ধান মাড়াই যন্ত্র তৈরি করেছে রাজধানীর বিএম কলেজের ছাত্র পুলক, ইমরান ও আজমির। এটি স্বল্প খরচে অধিক কার্যকরী।
মনিপুর স্কুলের সপ্তম শ্রেণির তিন ছাত্রী ফারজানা আক্তার, কাকলী আক্তার মির্জা ও সারা তৈরি করেছে ওয়াটার কনর্ভাট ভিশন। এর মাধ্যমে বৃষ্টির পানি জমিয়ে রেখে আবাসন, কল-কারখানাসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা যাবে। বৃষ্টির পানিকে দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের জন্য তারা এটি করেছে।
এছাড়া নদীর পানি দূষণরোধে মনিপুর স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারুফ সিদ্দিকী নিলয় তৈরি করেছে ওয়াটার রিসাইকেলিং প্লানিং; ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ওয়ালিদ রায়হান ও আসিফ হাসান ঢাকাকে পরিকল্পিত শহরে রূপান্তরের পরিকল্পনা থেকে তৈরি করেছে মর্ডান আন্ডার গ্রাউন্ড ওভার গ্রাউন্ড টেন ও কার কমিউনিকেশন সিস্টেম ইন ঢাকা; প্রকৃতির মাধ্যমে ফসলের পোকামাকড় নিবারণে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী লামিয়া ইসলাম সাইসা সিদ্দিকা ও সুমানা হোসেন তৈরি করেছে ফসলের পোকামাকড় নিধন ওষুধ; গরম থেকে স্বস্তি দিতে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী উর্মি, ঐশী ও লামিয়া ব্যবহৃত পানীয় প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে তৈরি করেছে এয়ারকুলার।
এ বিষয়ে মনিপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফরহাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, বিভিন্ন অধ্যায়ে তিনদিন ব্যাপী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা চলবে। নির্বাচকের ফলাফলের ভিত্তিতে সমাপনী দিনে মোট ১০১ জনকে বিভিন্ন পর্যায়ে পুরস্কৃত করা হবে।
এমএইচএম/এসআর/আরআইপি