ভিকারুননিসায় ৯ অভিভাবক-শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত
দীর্ঘ নয় বছর পর অনুষ্ঠিত ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচনে নয়জন অভিভাবক ও শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচিতদের মধ্যে ছয়জন অভিভাবক ও অপর তিনজন শিক্ষক প্রতিনিধি।
শনিবার রাতে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন।
এরআগে সকাল ১০টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা।
নির্বাচিত অভিভাবক প্রতিনিধিরা হলেন, কলেজ শাখায় অ্যাডভোকেট ইউনুচ আলী আকন্দ, দ্বিতীয় হয়েছেন অপর প্রার্থী আতাউর রহমান। স্কুল শাখায় প্রথম মারুফ আহমেদ মুনসুর ও দ্বিতীয় ডা. মজিবুর রহমান হাওলাদার। প্রাথমিক শাখায় ডা. তাজুল ইসলাম এবং সংরক্ষিত নারী আসনে খুরশিদ জাহান।
শিক্ষক প্রতিনিধিরা হলেন, হাইস্কুল শাখায় মাহবুবুর রহমান এবং সংরক্ষিত নারী শিক্ষক প্রতিনিধি মুশতারি সুলতানা। এছাড়া কলেজ শাখায় সাজেদা বেগম ও ড. ফারহানা বেগম সমানসংখ্যক ভোট পান। পরে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী হন ড. ফারহানা বেগম।
নির্বাচনে চারটি শাখায় অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে মোট ৩০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদের মধ্যে কলেজ প্রতিনিধি পদে সাতজন, মাধ্যমিকে নয়জন, প্রাথমিকে ১০ জন ও সংরক্ষিত নারী পদে চারজন প্রার্থী ছিলেন।
শিক্ষক প্রতিনিধি পদে ছিলেন ১২ জন। এদের মধ্যে স্কুল পর্যায়ে ছয়জন, কলেজে দুইজন এবং সংরক্ষিত নারী পদে চারজন।
এদিকে, নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রার্থীদের ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে জাল ভোট দেয়া হয়েছে বলে জাগো নিউজকে অভিযোগ করেছেন একাধিক প্রার্থী। অভিযোগ উঠেছে, ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত ব্যক্তিদের জেতাতে স্কুল কর্তৃপক্ষসহ প্রিজাইডিং অফিসার জাল ভোট দিতে সহায়তা করেছেন।
তবে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে বলে দাবি করেন দায়িত্বরত পিজাইডিং অফিসার।
এরআগে সকাল ১০টায় উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন কার্যক্রম শুরু হয়। এতে প্রায় ২৩ হাজার অভিভাবক ও শিক্ষক ভোটার ছিলেন। বৃষ্টির কারণে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল। বেইলি রোডের মূল ক্যাম্পাস, আজিমপুর, বসুন্ধরা ও ধানমন্ডি শাখা ক্যাম্পাসে একযোগে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়। এই চার স্থানে অভিভাবকদের জন্য ৫৮টি আর শিক্ষকদের জন্য তিনটি বুথে ভোট নেয়া হয়।
প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জানান, দুই শতাধিক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রায় দুই-শতাধিক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত ছিলেন।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের প্রবিধানমালা অনুযায়ী এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে ১১ থেকে ১২ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়ে থাকে। সাধারণত প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পর স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে অধ্যক্ষ সভাপতি হিসেবে তিনজনের একটি প্যানেল পাঠাবেন শিক্ষাবোর্ডে। ওই তিনজন নির্বাচিত সদস্যদের মধ্য থেকে হতে পারে, বাইরে থেকেও হতে পারে। যদি বাইরে থেকে নাম প্রস্তাব ও অনুমোদন পায় তাহলে গভর্নিং বডির সদস্য সংখ্যা হয় ১২ জন, না হলে ১১ জন।
এমএইচএম/এসআর