তিন কারণে কমেছে এইচএসসি পরীক্ষার্থী


প্রকাশিত: ০৩:৪২ এএম, ০১ এপ্রিল ২০১৭
ফাইল ছবি

চলতি বছর তিন কারণে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় তুলনামূলকভাবে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। এ বছর দশ শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ জন। অর্থাৎ পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৩৫ হাজার। বিভিন্ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, কঠিন সিলেবাস, জটিল সৃজনশীলতা ও ক্লাসে মনোযোগী করতে না পারায় ঝরে পড়ছে ছাত্র-ছাত্রী। এ কারণে এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেছে।

সূত্র জানায়, প্রতিবছর সিলেবাস পরিবর্তন করা হচ্ছে। এ কারণে ক্লাসে পড়াতে শিক্ষকদের হিমশিম খেতে হয়। এছাড়াও অভিনব সৃজনশীল চালু করা হলেও সে বিষয়ে শিক্ষকদের ধারণা এখনও স্বল্প। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের ভয় ঢুকে যাচ্ছে। এ কারণে পরীক্ষায় ভালো ফল করতে পারবে কিনা সেই আশঙ্কায় অনেকেই ঝরে পড়ছে।

আগামীকাল রোববার (২ এপ্রিল) থেকে এবারের তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ১৫ মে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৬ মে শুরু হয়ে ২৫ মে শেষ হবে। এবার আট হাজার ৮৬৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দুই হাজার ৪৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। গত বছরের তুলনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৩১টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ৪৫টি। গত বছরের তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থী কমেছে ৩৪ হাজার ৯৪২ জন। এবার বিদেশের সাতটি কেন্দ্রে ২৭১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে।

যদিও পরীক্ষার্থী কমে যাওয়ার বিষয়ে চিন্তিত নন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন। গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত বছর যশোর বোর্ডে অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ, গত দুই বছরে পাসের হার হ্রাস পাওয়া ও সমাজের নানা প্রতিবন্ধকতার ফলে এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেছে।

তিনি বলেন, পরীক্ষার্থী কমে যাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আমরা বোর্ডগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছি। তবে এটি অস্বাভাবিক বিষয় নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, ২০১৪ সালের এসএসসিতে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ তিন হাজার ৩৩১ জন। ২০১৫ সালে ছিল ১২ লাখ ৮২ হাজার ৬১৮ জন। ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে পরীক্ষার্থীর পাসের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে ২০ হাজার ৭১৩ জন। অর্থাৎ ২০ হাজার শিক্ষার্থী কলেজে কম ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।

এছাড়াও ইংরেজি পরীক্ষায় বিপর্যয় হয়ে পাসের হার ৪৬ শতাংশে নেলে এলেও গত বছরে ৮৬ শতাংশে উন্নীত হয়। এসব পরীক্ষার্থী অনিয়মিত হিসেবে গত বছর পরীক্ষা দিয়ে ইংরেজিতে ৯০ শতাংশের বেশি পাস করেছে। যে কারণে যশোর বোর্ডে অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫ হাজার ৭৮২ জন কমায় এবার পরীক্ষার্থীর হার কমে যাওয়ার বড় কারণ মনে করেন।

এমএইচএম/বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।