হেঁটে স্কুলে যাওয়ার পরিবেশ চায় ওরা


প্রকাশিত: ০৯:১২ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

স্কুল সময়ে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহারের ফলে হেঁটে স্কুলে যেতে পারে না ঢাকার শিশুরা। তাই সরকারের কাছ থেকে হেঁটে স্কুলে যাতায়াতের পরিবেশ চায় তারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর মনসুরাবাদে অবস্থিত সুইটবার্ড স্কুল ও ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর যৌথ উদ্যোগে ‘আমার বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথ’ অঙ্কন কর্মসূচিতে তারা এ দাবি জানায়।
 
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ঢাকা শহরে স্কুল সময়ে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহারের কারণে অধিকাংশ রাস্তায় যানজট সমস্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। অথচ স্কুলগুলো হেঁটে আসা-যাওয়ার মাধ্যমে যানজট হ্রাস করা সম্ভব। পাশাপাশি হেঁটে যাতায়াতের মাধ্যমে শিশুর স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। প্রতিদিন স্কুলে হেঁটে যাতায়াতের মাধ্যমে শিশুদের শারীরিক পরিশ্রমের অভাব পূরণ করা সম্ভব। পাশাপাশি যাতায়াতের ক্ষেত্রে যানবাহনের ব্যবহার কমে গেলে পরিবেশ দূষণ কমবে এবং যাতায়াত খরচও সাশ্রয় হবে।
 
অঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয়ের ১৫০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। পরে শিক্ষার্থীরা নিরাপদে হেঁটে স্কুলে যাতায়াতের পরিবেশ তৈরির দাবিতে একটি মানববন্ধনে অংশ নেয়।
 
চিত্রাঙ্কন কর্মসূচির উদ্বোধনে প্রকল্প কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, হাঁটার পরিবেশ ভালো না হওয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ হাঁটতে নিরুৎসাহিত হন। যারা হেঁটে যাতায়াত করেন তারা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন। এ জন্য শিক্ষার্থীদের স্কুলে নিয়মিত হেঁটে যাতায়াতে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি হেঁটে যাতায়াতের পরিবেশ তৈরিতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

মানববন্ধনে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মারুফ হোসেন বলেন, একটি শিশুর জন্য একটি গাড়ি ব্যবহারের ফলে যানজট যেমন সৃষ্টি হচ্ছে পাশাপাশি হেঁটে চলাচলকারী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরও সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সরকারের প্রত্যেক স্কুলে ৪০ শতাংশ কোটা চালুর গৃহীত পদক্ষেপের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দময় হাঁটার পরিবেশ তৈরির কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য প্রতিটি কমিউনিটিতে সমমানের স্কুল থাকা এবং স্থানীয় স্কুলে শিশুদের পড়ালেখা বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। যাতে করে অল্প দূরত্বে শিশুরা হেঁটে স্কুলে যেতে পারে।

সুইট বার্ড স্কুলের প্রধান শিক্ষক জেসমিন নাহার বলেন, অভিভাবকদের পছন্দানুযায়ী স্কুলে সন্তানদের পড়ানোর জন্য দূরত্ব বেশি হওয়ার কারণে গাড়ির উপর নির্ভরশীলতা দেখা যায়। এমনকি অনেক সময় সামাজিক মর্যাদা বাড়ানোর ভ্রান্ত ধারণা থেকে অনেকেই অল্প দূরত্বেও সন্তানদের গাড়ি করে আনা-নেয়া করে থাকেন। অভিভাবকেরা যদি কমিউনিটি স্কুলে সন্তানদের পাঠান তবে যানজট হ্রাস পাবে।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট্রের সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার জিয়াউর রহমান লিটু, সহকারী অ্যাডভোকেসি কর্মকর্তা নাঈমা আকতার, তানজিদা হক প্রমুখ।

এমএসএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।