বিতর্কিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সনদে ৭৩৯ জনকে এমপিও


প্রকাশিত: ১১:৩৩ এএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

অবশেষে দারুল ইহসানসহ বিতর্কিত বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সনদে সহকারী গ্রন্থাগারিক ও ক্যাটালগার পদে ৭৩৯ জনকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। বিতর্কিত এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরি সায়েন্সের ডিপ্লোমা সনদ নিয়ে তারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, গত ২৩ জানুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে জানুয়ারির এমপিও সভায় তালিকায় থাকা সহকারী গ্রন্থাগারিকদের বিষয়ে আলোচনা শেষে আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন গ্রহণপূর্বক এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় ১ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক মো. এলিয়াছ হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে সহকারী গ্রন্থাগারিকদের এমপিওভুক্তির বিষয়টি বিধি মোতাবেক নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়।

শিক্ষা অধিদফতর থেকে প্রকাশিত ওই আদেশে সংশ্লিষ্টদের অনলাইনে এমপিও আবেদন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে বিষয়টি বিধি মোতাবেক নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়। বিষয়টি মাউশির পরিচালক এলিয়াছ হোসেন নিশ্চিত করেছেন।

অধিদফতরের আদেশে বলা হয়, ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ১০ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি হওয়া পরিপত্র অনুযায়ী- সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে এমপিওভুক্তির জন্য চাকরিতে যোগদানের তারিখ হতে হবে ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ২২ নভেম্বর আর একটি পরিপত্র জারি করে চাকরিতে যোগদানের সময় ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ২২ অক্টোবর পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। কিন্তু ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ৩১ জানুয়ারির পর থেকে ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে যেসব ব্যক্তি গ্রন্থাগারিক/ক্যাটালগার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেছিলেন তাদের এমপিওভুক্তি এতদিন বন্ধ ছিল।

জানা যায়, এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় থাকা এসব গ্রন্থাগারিকের অধিকাংশের উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, বন্ধ হয়ে যাওয়া বেসরকারি দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়ায় মূলত তাদের এমপিও আবেদন এতদিন আটকে ছিল। কারণ এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত এসব গ্রন্থাগারিকের সনদের বৈধতা দেয়নি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

দেশের নয়টি অঞ্চলের বিভিন্ন জেলা শিক্ষা অফিস হয়ে এ পর্যন্ত সহকারী গ্রন্থাগারিক/ক্যাটালগার পদে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করা মোট ৭৩৯ জনের মধ্যে ঢাকা অঞ্চলে রয়েছে মোট ৪২ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১১ জন, মানিকগঞ্জে চার, গাজীপুরে তিন, মুন্সিগঞ্জে তিন, ফরিদপুরে দুই, গোপালগঞ্জে আট, মাদারীপুর ছয় এবং রাজবাড়িতে চারজন।

ময়মনসিংহ অঞ্চলে সর্বমোট আবেদন করেছেন ৩৩ জন। এর মধ্যে জামালপুরে ৮ জন, কিশোরগঞ্জ ৫ জন এবং টাঙ্গাইল জেলার রয়েছেন ২০ জন।

চট্টগ্রাম অঞ্চলে সর্বমোট আবেদন করেছেন ২২ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ১২ জন, কক্সবাজার ২ জন, ফেনী ৫ জন, নোয়াখালী ২ জন এবং রাঙ্গামাঠিতে ১ জন।

কুমিল্লা অঞ্চলে সর্বমোট আবেদন করেছেন ৩৯ জন। এর মধ্যে কুমিল্লায় ২৪ জন, লক্ষ্মীপুরে ৫ জন, চাঁদপুরে ৪ জন এবং ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় ৬ জন।

সিলেট অঞ্চলে সর্বমোট আবেদন করেছেন ১৩ জন। এর মধ্যে হবিগঞ্জে ১০ জন, মৌলভীবাজার ২ জন এবং সুনামগঞ্জে ১ জন।

রাজশাহী অঞ্চলে সর্বমোট আবেদন করেছেন ১৭৪ জন। এর মধ্যে রাজশাহীতে ১৪ জন, বগুড়ায় ২৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১২ জন, নওগাঁয় ৪৩ জন, নাটোরে ২৭ জন, পাবনায় ১১ জন, সিরাজগঞ্জে ২৬ জন এবং জয়পুরহটে ১৬ জন।

রংপুর অঞ্চলে সর্বমোট আবেদন করেছেন ২৯৭ জন। এর মধ্যে রংপুরে ৩৬ জন, কুড়িগ্রামে ২৫ জন, লালমনিরহাটে ২৬ জন, গাইবান্ধায় ৫৩ জন, নীলফামারীতে ২৬ জন, দিনাজপুরে ৫৪ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৩০ জন এবং পঞ্চগড়ে ৪৭ জন।

খুলনা অঞ্চলে সর্বমোট আবেদন করেছেন ৬৮ জন। এর মধ্যে খুলনায় ২২ জন, মেহেরপুরে ৯ জন, সাতক্ষীরায় ১০ জন, যশোরে ৮ জন, নড়াইলে ৪ জন, মাগুরায় ৬ জন, ঝিনাইদহে ৯ জন এবং বাগেরহাটে ২০ জন।

এছাড়া বরিশাল অঞ্চলে সর্বমোট আবেদন করেছেন ৫১ জন। এর মধ্যে বরিশালে ৯ জন, ঝালকাঠিতে ৮ জন, ভোলায় ৫ জন, বরগুনায় ১০ জন, পিরোজপুরে ৮ জন এবং পটুয়াখালীতে ১১ জন এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেছেন।

এমএইচএম/বিএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।