বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে যার মত টাকা আদায় করছে
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে যার মত করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে বলে স্বীকার করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তাৎক্ষণিকভাবে এ লাগামহীন ফি বন্ধে নিজের অসহায়ত্বও প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। সংসদে শিক্ষামন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে প্রশ্নের জবাব দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে যার মত করে বিভিন্নখাতে টাকা আদায় করছে। বিষয়টি আমরা অনুভব করলেও বিদ্যমান আইনে (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০) এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিকার করার সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০, এর ৪২ ধারা অনুযায়ী প্রত্যেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করার নিমিত্ত শিক্ষার্থীদের জন্য দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থার মানদণ্ডে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি শিক্ষার্থী
ফি কাঠামো প্রস্তুত করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে অবহিত করবে। এক্ষেত্রে ইউজিসি প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করতে পারবে মর্মে আইনে বলা আছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে যার মত করে বিভিন্নখাতে অর্থ আদায় করা সকলের জন্য উচ্চশিক্ষা নিশ্চিতকরণের পথে একটি অন্যতম অন্তরায়। তাৎক্ষণিকভাবে এ ফি বন্ধ করতে না পারলেও লাগামহীন ফি বন্ধে বিদ্যমান আইনের কিছু ধারা সংশোধনের জন্য জাতীয় সংসদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি কর্তৃক একটি সাব-কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অর্থ আদায় সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রমের একটি সামগ্রিক সমীক্ষা হওয়া দরকার। গুরুত্ব বিবেচনায় এ বিষয়টি নিয়ে আমরা মত বিনিময়ও করেছি।’
এইচএস/আরএস/পিআর