বর্ণিল সাজে পালিত হচ্ছে বই উৎসব
বর্ণিল সাজে মেতেছে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক উৎসব ২০১৭। নতুন বই, উৎসবের গান আর রকমারি সাজ এ উৎসবকে আরও আনন্দময় করে তুলেছে। নতুন বই পাওয়ার প্রতীক্ষায় ভোর থেকেই নানা সাজে রাজধানীর ১৫টি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আগমনে এ উৎসব প্রাণবন্ত হয়ে ওঠেছে। জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) আয়োজনে আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ উৎসব পালিত হচ্ছে।
ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মাধ্যমিক পর্যায়ের বই উৎসবের অংশীদার হিসেবে আজিমপুর, নিউমার্কেট, নিলক্ষেত, কাটাবন, সাইন্স ল্যাবরেটরিসহ পার্শবর্তী এলাকার ১৫টি স্কুলের প্রায় দুই সহাস্রাধিক শিক্ষার্থী মাথায় ক্যাপ আর হাতে রঙ্গিণ বইয়ের রঙে মেতেছে। তাদের সঙ্গ দিতে রয়েছেন ক্লাস শিক্ষকরাও। কেউ আবার উৎসবকে মাতিয়ে তুলতে রঙিন শাড়ি ও বাহারি রঙের ফুল দিয়ে সেজেছেন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ (রোববার) সকাল ৯টায় জাতীয় পাঠ্যপুস্তক উৎসবে শুভ সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বই উৎসব এখন সকলের কাছে বড় উৎসবে পরিণত হয়েছে। এদিন সকল শিক্ষার্থীরা একযোগে বিনামূল্যে নতুন পাঠ্যবই পাচ্ছে। তাই শুধু শিক্ষার্থী না অভিভাবকরাও এ দিনটি উৎসব হিসেবে পালন করছেন।
তিনি বলেন, আগে স্কুলের ব্যয় আর বই কিনে দিতে অভিভাবকরা হিমসিম খেতেন। তাদের কথা বিবেচনা করে আমরা দেশের সকল শিক্ষার্থীদের বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে বই দিয়ে আসছি। আমাদের এ কার্যক্রমে অনেকে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। আমরা সকল প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিচ্ছি।
নতুন বই পেয়ে আনন্দে উৎচ্ছ্বাসিত আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী কানিজ ফাতেমা। জাগো নিউজকে সে বলেন, আমি এ বছর ৭ম শ্রেণিতে ওঠেছি। বছরের শুরুতেই আমরা সবাই নতুন বই পাব, এটি ভাবতেই অনেক আনন্দ লাগছে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশ্ববিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিভাগের সচিব সোহরাব হোসেন, মাদরাসা ও কারিগরি বিভাগের সচিব মো. আলমগীর
হোসেন, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. ওয়াহেদুজ্জামান, এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারয়ণ চন্দ্র সরকার, কারিগরি বোর্ড চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন বোর্ড কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজাধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৪৫টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে। এরমধ্যে ৪ কোটি ২৬ লাখ ৩৫ হাজার ৯২৯ জন ইবতেদায়ী, দাখিল, কারিগরি, এসএসসি ভোকেশনাল, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে এসব বই বিতরণ করা হবে।
এমএইচএম/আরএস/জেআইএম