দিল্লিতে বিধান সভা নির্বাচন শনিবার
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সত্যিকার জনপ্রিয়তার পরীক্ষার সম্মুখীন হচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেননা মোদি ক্ষমতায় আসার পর শনিবার দিল্লিতে বিধান সভার নির্বঅচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
শনিবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। ফল ঘোষণা করা হবে মঙ্গলবার। এই নির্বাচনে গত মেতে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে গো-হারা কংগ্রেসের জনপ্রিয়তা আরো নিচে নেমে যাওয়ার বিষয়টিও প্রমাণিত হতে পারে। তবে দিল্লিতে ২০১৩ সালের মতো এবারও বিজয় বিজেপির জন্য অধরাই থেকে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মতামত জরিপে দেখা যাচ্ছে, ৪৯ দিন দিল্লির ক্ষমতায় থেকে পদত্যাগ করা মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আবারো দিল্লির মসনদে ফিরে আসছেন। কেজরিওয়াল মে মাসে বেনারস আসন থেকে বিজয় অর্জনে মোদিকে ঠেকাতে পারেননি।
দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য মোদি বেছে নিয়েছেন সাবেক শীর্ষ নারী পুলিশ কর্মকর্তা কিরণ বেদিকে। তাকে বিজয়ী করতে প্রচারণার মাঠে নামিয়েছেন তার দুই বিশ্বস্ত সহযোগী বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ও অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলিকে।তবে ৬৫ বছর বয়সী কিরণ বেদিকে দলের প্রার্থী করায় বিজেপির অনেক কর্মীই নাখোশ। অতীতে বিজেপিকে খাটো করে দেখার ইতিহাস থাকায় কিরণ বেদির ওপর ক্ষুব্ধ তারা।
৪৬ বছর বয়সী কেজরিওয়াল ৪৯ দিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব পালনের পর পদত্যাগ করার জন্য বেশ কয়েকবার জনগণের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
কেজরিওয়াল এবার ক্ষমতায় এলে দিল্লিতে একটি স্থিতিশীল সরকার প্রতিষ্ঠা, সুলভে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ এবং বিনা মূল্যে ওয়াইফাই সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কেজরিওয়ালের জনপ্রিয়তা দেখে স্বয়ং মোদি তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন। মোদি কেজরিওয়ালকে পেছন থেকে ছুরি চালানো লোক অভিহিত করে বলেন, ক’দিনের মাথায় মতা ছেড়ে দিয়ে তিনি জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিল্লীর এক বিজেপি নেতাও স্বীকার করেন যে দিল্লীর ১ কোটি ৩০ লাখ ভোটারের রায়ের একটি ব্যাপক প্রভাব থাকবে। তিনি বলেন, এলাকা ও জনসংখ্যার বিচারের এটিকে একটি ছোট পৌরসভা মনে হলেও এটি অন্যান্য বিধানসভার চেয়ে অনেক বেশি প্রচারণা এবং মিডিয়া মনোযোগ পেয়ে থাকে।
এএইচ/পিআর