‘রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ছেলে পড়ার টেবিলে কম ছিল, তাই দুশ্চিন্তা’

সারাদেশে আজ একযোগে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এদিন সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষা গ্রহণকে কেন্দ্র করে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। শিক্ষার্থীরাও তাদের প্রস্তুতি শেষ করে কেন্দ্রের সামনে হাজির হয়েছে। সঙ্গে এসেছেন অভিভাবকরা।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর আজিমপুর গভ. গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছে। হাতে কলম, পেন্সিল, রাবার, স্কেল, প্রবেশপত্রসহ দাঁড়িয়ে রয়েছে। ঠিক ৯টা বাজার সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। তবে বই নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা শুধু পরীক্ষার উপকরণ নিয়েই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারছে।
কেন্দ্রের সামনে দেখা যায়, অনেক শিক্ষার্থীকে তাদের পিতা-মাতা কেন্দ্রে নিয়ে এসেছেন। পরীক্ষার্থীদের অনেককে বেশ চিন্তিত দেখা গেছে। তারা বলছেন জীবনের প্রথম এত বড় পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে কিছুটা চাপ বা ভয় কাজ করছে তাদের মধ্যে। আবার অনেকে ছিলেন দুশ্চিন্তামুক্ত। শিক্ষার্থীরা বেশ ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন। অভিভাবকদের অনেককে দুশ্চিন্তায় থাকতে দেখা গেছে।
লালবাগ স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী রাতুল বলেন, আমাদের মোট তিন ঘণ্টা পরীক্ষা হবে। আড়াই ঘণ্টা লিখিত এবং ৩০ মিনিট এমসিকিউ। প্রস্তুতি ভালো নিয়েছি। আশা করছি পরীক্ষা ভালো দিতে পারবো।
একই প্রতিষ্ঠানের আরেক শিক্ষার্থী সারোয়ার বলেন, পরীক্ষা দিতে কিছুটা ভয় কাজ করছে। কেমন হবে জানি না। আশা করছি ভালো হবে। জীবনের প্রথম এত বড় পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছি তো, এজন্য হয়তো ভয় কাজ করছে।
ইউনির্ভাসিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, আজ প্রথম পরীক্ষা এজন্য ভয় পাচ্ছি। প্রশ্নপত্র কেমন হবে এসব নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তা আছে। তবে পরীক্ষা ভালো হবে আশা আছে, প্রস্তুতিও ভালো নিয়েছি।
তবে সন্তানদের পরীক্ষা নিয়ে অভিভাবকদের বেশ দুশ্চিতায় থাকতে দেখা গেছে। অনেক অভিভাবক বলছেন বিগত সময়ে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিলে কম ছিল। তাই সন্তানদের পরীক্ষা নিয়ে তারা কিছুটা দুশ্চিন্তায়।
আজিমপুরের বাসিন্দা মিলন রহমান বলেন, আমার ছেলে এবার পরীক্ষা দিচ্ছে। ওর আম্মু আর আমি দুজনই এসেছি। যেহেতু প্রথম পরীক্ষা সেজন্য সাহস দিয়েছি। এবার তো ছেলেমেয়েরা পড়ার টেবিলে কম ছিল। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও ভালো ছিল না। সব মিলিয়ে দুশ্চিন্তা কাজ করছে।
মেয়েকে কেন্দ্রে নিয়ে আসা তসলিমা বেগম বলেন, মেয়েটার মধ্যে কিছুটা ভয় কাজ করছিল। প্রথম পরীক্ষা তো। প্রস্তুতি ভালো নিয়েছে। আশা করছি ভালো পরীক্ষা দেবে।
এছাড়া কেন্দ্রের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
এনএস/বিএ/এএসএম