পিএসসির সামনে বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি

সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। সরকারি চাকরির নিয়োগপ্রক্রিয়া পরিচালনা করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। পিএসসি চাকরিপ্রার্থীদের যেমন আস্থার জায়গা, তেমনি যেকোনো দাবি-দাওয়া নিয়েও সেখানে ছুটে যান তারা। ফলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে প্রায় সারাবছর পিএসসির সামনে মানববন্ধন, বিক্ষোভ-সমাবেশ লেগেই থাকে।
সম্প্রতি চাকরিপ্রার্থীরা দাবি-দাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ করলেই ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ছেন। এতে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এ প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে। সবশেষ ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিক্ষোভের একপর্যায়ে পিএসসির ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন একদল আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী। এতে ‘নারাজ’ পিএসসি কর্তৃপক্ষ। তারা এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর বরদাশত করতে চান না।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পিএসসি। ভবিষ্যতে কেউ পিএসসির সামনে ‘বিশৃঙ্খলা’ করে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি বলছে, পিএসসি হলো কেপিআই (কী পয়েন্ট ইনস্টলেশন) এলাকা অর্থাৎ, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এখানে বিশৃঙ্খলা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের (ক্যাডার শাখা) চলতি দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মাসুফা আফরীনের সই করা বিজ্ঞপ্তির শেষাংশে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনায় সর্বদা প্রস্তুত। তবে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা বিলম্বিত করার পক্ষে কতিপয় প্রার্থী ৮ এপ্রিল কমিশনের মতো কেপিআই-এর সম্মুখে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে অবৈধ প্রবেশের যে চেষ্টা করেছেন, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হলে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রার্থীসহ সব মহলের সহযোগিতা কামনা করছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এএএইচ/এমআইএইচএস