সাত কলেজ নিয়ে শিগগির সুন্দর সমাধান হবে: ইউজিসি চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫৬ এএম, ২৫ মার্চ ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের চলমান প্রক্রিয়ার সুন্দর সমাধান হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।

তিনি বলেন, আমরা সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে কাজ করছি। সম্প্রতি রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সেটা সমাধানে আমরা অনেকটা এগিয়ে গেছি। একটি নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাকি যে কাজগুলো, তা দ্রুত শেষ হবে। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি সমাধান হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে একটি রেস্তোরাঁয় শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো ঐক্য তৈরিতে ভূমিকা রাখে উল্লেখ করে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আজকে যেমন এখানে আমরা সব পক্ষ ইরাবের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এসেছি। ইউজিসির সবাই এসেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা এসেছেন, শিক্ষাপ্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা এসেছেন। একটি প্ল্যাটফর্মে সবার সঙ্গে আলাপ-কুশল বিনিময় হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ইউজিসির কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে সাংবাদিকদের ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ফায়েজ বলেন, ‘আমি মনে করি, ইউজিসির যদি কোনো সফলতা থাকে, এর কারণ আমরা সবাই একসঙ্গে আছি। আমাদের ভুল থাকলে ধরিয়ে দেবেন, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। আমরা আপনাদেরই একটি অংশ। আমাদের তরফ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।’

শিক্ষা মন্ত্রণালায়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ছেলে-মেয়ে বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার সুযোগ এনে দিয়েছে এবং আমরা সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে চাই। আপনারাও (সাংবাদিক) দেশ গড়ার কাজে অংশীদার হবেন।’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, ৫ আগস্টের পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যে অবস্থায় ছিল, সেখান থেকে আজকের যে উত্তরণ, সে জায়গায় আসতে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন সাংবাদিকরা। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া কোনোভাবেই এটাকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতো না।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান, প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, ইউসিজির সচিব ড. ফখরুল ইসলাম, পরিচালক ড. এ কে এম শামসুল আরেফিন, মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল।

ইরাব সভাপতি ফারুক হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান সালমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহাম্মদ, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, সহ-সভাপতি এইচ এম আবু জাফর, ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, ইসলামী ছাত্রশিবিরের আন্তর্জাতিক সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ শাহেদী, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশা প্রমুখ।

এএএইচ/এমএইচআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।