এবার উল্টো পথে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:১৬ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পর এখন প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে। প্রায় এক মাস ধরে চলা দরপতনের কারণে মিউচুয়াল ফান্ডটির ইউনিটের দাম অর্ধেকের নিচে চলে এসেছে। অবশ্য এই দাম কামার আগে ফান্ডটির দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়তে দেখা যায়।

দাম কমতে থাকায় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহও হারাচ্ছে ফান্ডটি। বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই ফান্ডটির ইউনিট কিনতে চাচ্ছেন না। ফলে গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম কমার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এক সপ্তাহেই মিউচুয়াল ফান্ডটির ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে কমেছে ১১ কোটি ২০ লাখ টাকা।

বিজ্ঞাপন

গত সপ্তাহজুড়ে ফান্ডটির দর কমেছে ২১ দশমিক ২৯ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি ইউনিটের দাম কমেছে ৫ টাকা ৬০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ফান্ডটির প্রতিটি ইউনিটের দাম দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ছিল ২৬ টাকা ৩০ পয়সা।

ফান্ডটির দরপতন শুর হয় ৩ ডিসেম্বরের পর থেকে। ৩ ডিসেম্বর প্রতিটি ইউনিটের দাম ছিল ৪৮ টাকা। সেখান থেকে ধারাবাহিকভাবে কমে এখন ২০ টাক ৭০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ টানা দুই মাস ধরে ফান্ডটির দাম কমছে। দুই মাসে প্রতিটি ইউনিটের দাম কমেছে ২৭ টাকা ৩০ পয়সা বা ৫৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

অবশ্য এই দরপতনের আগে ফান্ডটির দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ে। গত ২ অক্টোবর ফান্ডটির প্রতিটি ইউনিটের দাম ছিল ৩০ টাকা। সেখান থেকে ধারাবাহিকভাবে বেড়ে ৪৮ টাকায় ওঠে। অর্থাৎ প্রতিটি ইউনিটের দাম বাড়ে ১৮ টাকা বা ৬০ শতাংশ।

দামে এমন উত্থান-পতন হওয়া মিউচুয়াল ফান্ডটি ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তার আগে ২০২২ সালে ১১ শতাংশ নগদ এবং ২০২১ সালে ১০ শতাংশ নগদ নগদ লভ্যাংশ দেয়।

২০০৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ফান্ডটির ইউনিট সংখ্যা ২ কোটি। এর মধ্যে ২ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে। বাকি ইউনিটের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭০ দশমিক ৯৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং বিদেশিদের কাছে দশমিক ৬ শতাংশ আছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের পরই গত সপ্তাহে দাম কমার তালিকায় ছিল বিডি থাই ফুড। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ১৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ১৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ দাম কামার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে রেনেটা।

এছাড়া গত সপ্তাহে দাম কমার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- এডিএন টেলিকমের ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, বিবিএস ক্যাবলস ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ, সালভো কেমিক্যালসের ১২ দশমিক ১৩ শতাংশ, ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের ১১ দশমিক ৮৪ শতাংশ, গোল্ডেন সনের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ, ওরিয়ন ফার্মার ১০ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং ইভিন্স টেক্সটাইলের ১০ দশমিক ৩১ শতাংশ দাম কমেছে।

এমএএস/এমআইএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।