আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বন্ধের সুপারিশ সিপিডির

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৩৪ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) বন্ধের মাধ্যমে দ্বৈত শাসন বন্ধ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) শক্তিশালী করার সুপারিশ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডি সিপিডি কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০২৪-২৫: সংকটময় সময়ে প্রত্যাশা পূরণের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এ সুপারিশ করেন।

বিজ্ঞাপন

সিপিডির ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বাধীন পর্যালোচনার (আইআরবিডি) আওতায় এ মিডিয়া ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।

সিপিডি বলছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের এফআইডির কারণে দেশের ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা দুর্বল হয়েছে। এরকম দ্বৈত নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর কারণে নীতি নির্ধারণে ব্যাঘাত ঘটছে। এছাড়া বিগত সরকারের সময় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ব্যাংকিং খাতকে দুর্বল করেছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, খেলাপি ঋণ ব্যাংকের সম্পদের মান ও তারল্য পরিস্থিতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ২০০৯ থেকে খেলাপি ঋণের যে ঊর্ধ্বমুখী ধারা ছিল তা ক্রমবর্ধমান রয়েছে। সেপ্টেম্বর ২০২৪ অনুযায়ী মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা, যা দেশের মোট অপরিশোধিত ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশ। এতো বিপুল খেলাপি ঋণের কারণে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ কমে যাচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ব্যাংকগুলোর অপ্রত্যাশিত ধাক্কা সামাল দেওয়ার সক্ষমতা কমেছে। জুন ২০২৪ সময়ে ব্যাংকের ক্যাপিটাল-টু-রিস্ক ওয়েটেড এসেট রেশিও (সিআরডব্লিউএ) ছিল ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ কমে হয়েছে ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

দেশের ব্যাংকিং খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে তাৎক্ষণিক, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সময়ে বাস্তবায়ন করার জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর শক্তিশালীকরণ, বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন রক্ষা, আইন ও বিচারিক পরিবেশ উন্নয়ন, সঠিক ও সময়মত তথ্য নিশ্চিত করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

বিশেষত বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন রক্ষার স্বার্থে এফআইডি বন্ধ করা জরুরি। এর পাশাপাশি প্রাক্তন গভর্নরদের জবাবদিহি, সাইবার হ্যাকিংয়ের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ, যা এরই মধ্যে ৮০ বার পিছিয়েছে। নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স ইস্যু বন্ধ করার মতো তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান ও গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এসআরএস/এমকেআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।