টিউলিপ সিদ্দিকের ব্যাংক হিসাব তলব

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৪০ এএম, ০৮ জানুয়ারি ২০২৫
টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক/ছবি-সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একইসঙ্গে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ হোসেন (পুতুল) এবং আজমিনা সিদ্দিকের ব্যাংক হিসাবের সব লেনদেনের তথ্য চেয়েছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে এসব তথ্য চাওয়া হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের সিনিয়র ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তদন্ত শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সদস্যদের সঙ্গে যুক্ত এমন একাধিক ব্যক্তির সম্পত্তিতে বসবাস বা ভোগদখল করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার লোপাটের অভিযোগ উঠেছে লেবারপার্টির এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে।

বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে, লেনদেন তলব করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে। তলব করা ব্যক্তির নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট এসব ব্যক্তিদের তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠাতে হবে।

গত ১০ ডিসেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ব্যাংক হিসাবের তথ্যও চাওয়া হয়। হিসাব তলব করা হয় চৌধুরী জাফরুল্লাহ সরাফাত, তার ভাই চৌধুরী হাবিবুল্লাহ সরাফাত ও ডালিয়া চৌধুরীর। পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়।

শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা কোনো ধরনের আর্থিক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না বা কারা এসব ট্রাস্টে টাকা দিয়েছেন এবং এই ট্রাস্টের টাকা কী কাজে ব্যবহার করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়।

ইএআর/এসআর

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।