এসএমই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে এনএসডিএ ও বিটিবির সমঝোতা স্মারক সই
উদ্যোক্তা ও ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ আয়োজনে সহায়তার লক্ষ্যে এক সঙ্গে কাজ করবে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-এনএসডিএ।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) এসএমই ফাউন্ডেশনের পক্ষে মহাব্যবস্থাপক নাজিম হাসান সাত্তার এবং এনএসডিএ’র পক্ষে মো. জোহর আলী এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এনএসডিএ চেয়ারম্যান (সচিব) নাসরীন আফরোজ এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
পরে এসএমই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড-বিটিবি। এসএমই ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী এবং বিটিবি’র পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
সমঝোতা স্মারকের আওতায় দেশের পর্যটন খাতে নতুন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা তৈরি, বিদ্যমান উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন, পর্যটন খাতের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রচার, ইকোট্যুরিজমের প্রচার ও প্রসার, গৃহীত সফট ট্যুরিজম, বিভিন্ন পর্যটন স্পটে এসএমই উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্যের স্যুভেনির শপ স্থাপন, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে এসএমই উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্যের বাজারজাতকরণ, এসএমই উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ এবং অর্থায়ন সহায়তার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক ফারজানা খান ও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান ৩২ শতাংশ।
আরও পড়ুন:
- এসএমই ফাউন্ডেশন ও ভিসার সমঝোতা স্মারক সই
- ব্যবসায় কর কাঠামোকে প্রধান বাধা মনে করেন ৫৭ শতাংশ উদ্যোক্তা
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র সবশেষ অর্থনৈতিক সমীক্ষা বলছে, দেশে ৭৮ লাখের বেশি কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা মোট শিল্প প্রতিষ্ঠানের ৯৯ শতাংশের বেশি। শিল্প খাতের মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৮৫ শতাংশ এসএমই খাতে। এই খাতে প্রায় আড়াই কোটিরও বেশি জনবল কর্মরত আছে। অধিক জনসংখ্যা এবং সীমিত সম্পদের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এমএসএমই একটি শ্রম নিবিড় ও স্বল্প পুঁজিনির্ভর খাত। উৎপাদন সময়কাল স্বল্প হওয়ায় জাতীয় আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এমএসএমইর অবদান অনেক। অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতো বাংলাদেশেও সিএমএসএমই খাতের বিকাশ ও উন্নয়নের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। বস্তুত বাংলাদেশকে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতির দেশে পরিণত করার ক্ষেত্রে এসএমই ফাউন্ডেশন অনুঘটকের ভূমিকা রাখছে। দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত সুরক্ষার মাধ্যমে এসএমই খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন সরকারের জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২ এসএমই নীতিমালা ২০১৯ এবং এসডিজি ২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
এসআরএস/এসএনআর