বছরের দ্বিতীয় কার্যদিবস

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন, সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৩২ পিএম, ০২ জানুয়ারি ২০২৫
লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে/ প্রতীকী ছবি

নতুন বছরের (২০২৫ সালের) প্রথম কার্যদিবসের মতো দ্বিতীয় কার্যদিবস বৃহস্পতিবারও (২ জানুয়ারি) শেয়ারবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবকয়টি মূল্যসূচক কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।  

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। এরপরও সিএসইতে বেড়েছে মূল্যসূচক। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।  

নানান ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে বিদায় নেওয়া ২০২৪ সালের বেশিরভাগ সময় শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। এতে এক বছরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন কমেছে এক লাখ ১৮ হাজার ২৩০ কোটি টাকা। পাশাপাশি প্রধান মূল্যসূচক কমেছে এক হাজার ৩০ পয়েন্ট। তবে নতুন বছরের প্রথম কার্যদিবসে দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকলেও প্রধান মূল্যসূচক সামান্য বাড়ে।  

এ পরিস্থিতিতে নতুন বছরের দ্বিতীয় কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যায়। লেনদেনের শুরুর দিকে দেখা দেওয়া দরপতনের এ ধারা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত। ফলে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে।  

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৯৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২২৯টির এবং ৭১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৯৯ পয়েন্টে নেমে গেছে। 

অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৯৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট কমে এক হাজার ১৫৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।  

মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩১৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৩০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা লেনদেন কমেছে।  

এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে রবির শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ১২ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৯৪ টাকার। এছাড়া ১০ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিটি ব্যাংক।  

ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ফাইন ফুডস, ওয়ান ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ইসলামী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক এবং উত্তরা ব্যাংক।  

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৪০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯১টির এবং ২৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১০১ কোটি ৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। 

এমএএস/কেএসআর

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।