প্রতিযোগিতামূলক করা হচ্ছে এসপিএম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫৭ পিএম, ০২ জানুয়ারি ২০২৫

ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল মুরিং (এসপিএম) এর পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ জিটুজি এর পরিবর্তে প্রতিযোগিতামূলক পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভা সূত্রে জানা যায়, জ্বালানি তেল খালাস কার্যক্রম দ্রুত, সহজ ও সাশ্রয়ী করার জন্য ‘ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্পটি ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে।

এসপিএম এর কমার্শিয়াল অপারেশন দ্রুত শুরু করার জন্য এ প্রকল্পের ইপিসি ঠিকাদার চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কো. লি.কে জিটুজি ভিত্তিতে পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকাদার হিসেবে সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ায় নিয়োগের বিষয়ে ২০২৪ সালের ২১ নভেম্বর অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

 আরও পড়ুন>>>

কাজটি একটি বিশেয়ায়িত কাজ হওয়ায় অধিক সংখ্যক দরদাতা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করলে কাজের মান সন্তোষজনক ও দরমূল্য কম পাওয়া যাবে মর্মে পরিলক্ষিত হয়। তার প্রেক্ষিতে প্রকল্পে ঠিকাদার নিয়োগে জিটুজি (সরাসরি) ক্রয়ের পরিবর্তে পিপিএ ও পিপিআর এর আওতায় প্রতিযোগিতামূলক পদ্ধতিতে ক্রয় কার্য সম্পন্নকরণের বিষয়টি অবগতির জন্য উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।

এ প্রকল্পের আওতায় মহেশখালীতে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ট্যাংক ফার্ম ও মহেশখালীর পশ্চিমে গভীর সমুদ্রে ১টি ভাসমান জেটি এবং ১১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ২টি সমান্তরাল পাইপলাইন (২২০ কি.মি.) স্থাপন করা হয়েছে। বিদ্যমান লাইটারেজ অপারেশনের পরিবর্তে পাইপলাইনে তেল পরিবহনের ফলে পরিবহন খরচ বছরে ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় ও সময় এক তৃতীয়াংশ কমবে।

জানা গেছে, মহেশখালী দ্বীপের পশ্চিম পাশে স্থাপিত সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং বয়াতে এসে ভিড়বে তেলবাহী মাদার ট্যাঙ্কারগুলো। জাহাজ থেকে অপরিশোধিত ও পরিশোধিত তেল পাম্প করা হবে, যা সরাসরি সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং বয়া হয়ে দুটি আলাদা পাইপলাইনের মাধ্যমে মহেশখালীর ছয়টি স্টোরেজ ট্যাঙ্কে জমা হবে। সেখান থেকে পাম্পিংয়ের মাধ্যমে আসবে চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারিতে।

 

এমএএস/এসআইটি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।