এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে সহযোগিতা চাইলেন বিজিএমইএর প্রশাসক

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৩ এএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
(এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের সঙ্গে বিজিএমইএ প্রতিনিধি দল/জাগো নিউজ

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রশাসক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে বিজিএমইএর একটি প্রতিনিধি দল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকায় এনবিআরের কার্যালয়ে তারা এই সাক্ষাৎ বৈঠক করেন। এ সময় বিজিএমইএ প্রতিনিধি দল শুল্ক এবং বন্ডেড ওয়্যারহাউস রেগুলেশন সম্পর্কিত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বিশেষ করে এক্ষেত্রে উদ্যোক্তারা প্রতিনিয়ত যে চ্যালেঞ্জগুলোর সম্মুখীন হচ্ছেন, সেগুলো তুলে ধরেন।

প্রতিনিধি দলটি পোশাক খাতের জন্য নির্বিঘ্ন এবং আরও দক্ষ ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করতে বাধাগুলো অপসারণের বিষয়ে এনবিআরের সহযোগিতা কামনা করেন।

আলোচনায় অংশ নেন বিজিএমইএ সাপোর্ট কমিটির সদস্য ইনামুল হক খান (বাবলু), আসিফ আশরাফ ও মো. শিহাবুদ্দোজা চৌধুরী।

বৈঠকে বিজিএমইএ প্রতিনিধি দল নন-বন্ডেড কারখানাগুলোকে স্থানীয়ভাবে কাঁচামাল সোর্সিংয়ের জন্য ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি খোলার অনুমতি দেওয়ার জন্য বর্তমান নিয়ম সংশোধনের বিষয়ে এনবিআরকে অনুরোধ জানান।

বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী, কারখানাগুলো বন্ড লাইসেন্স ছাড়া রপ্তানির উদ্দেশ্যে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির মাধ্যমে কাঁচামাল ক্রয় করতে পারে না, যা কি না নন-বন্ডেড কারখানাগুলোর জন্য উল্লেখযোগ্য বাধা তৈরি করে।

এনবিআর চেয়ারম্যান বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলের উত্থাপিত বিষয়গুলো মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেন যে এনবিআর নন-বন্ডেড কারখানাগুলোকে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি সুবিধা প্রদানের উপায়গুলো অনুসন্ধান করবে।

বৈঠকে বিজিএমইএ প্রতিনিধি দল তৈরি পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে কাস্টমস সংক্রান্ত নীতিগুলো সহজতর করা, বিশেষ করে আমদানিকৃত কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের ছাড়পত্রের জন্য প্রক্রিয়াগুলো সহজতর ও ত্বরান্বিত করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ জানান।

প্রত্যুত্তরে এনবিআর চেয়ারম্যান পরিষেবাগুলোকে আরও দ্রুততর, সময় সাশ্রয়ী এবং আরও দক্ষ করার জন্য এনবিআরের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

এমআরএম/এমএমএআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।