পদ্মা ব্যাংককে একীভূত করছে না এক্সিম ব্যাংক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৩৫ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ঋণ অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনায় ডুবতে বসা পদ্মা ব্যাংক পিএলসিকে একীভূত করবে না এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ পিএলসি (এক্সিম ব্যাংক)। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৪ মার্চ এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় পদ্মা ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে একই বছরের ১৮ মার্চ সিদ্ধান্তের বিষয়টি দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে জানিয়েছিল এক্সিম ব্যাংক। তবে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পরিবর্তিত বাস্তবতায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে এক্সিম ব্যাংক।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সিদ্ধান্তের কথা ডিএসইর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জানাল এক্সিম ব্যাংক পিএলসি।

চলতি বছরের শুরুতে দুর্বল ব্যাংকগুলো একীভূত করতে উদ্যোগ নিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর এক্সিম ও পদ্মা ব্যাংকের একীভূত হওয়ার প্রথম সিদ্ধান্ত হয়। একীভূতকরণ সংক্রান্ত নীতিমালাও জারি করা হয়। দুই ব্যাংকের পর্ষদ সভার সিদ্ধান্তের আলোকে একীভূতকরণের প্রক্রিয়া শুরুর লক্ষ্যে গত ১৮ মার্চ এক্সিম সমঝোতা স্মারক সই হয়।

ব্যাংক দুটির তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নরসহ অন্য কর্মকর্তা ও ব্যাংক দুটির চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে চুক্তিতে সই করেন। গত ৩১ জানুয়ারি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে দুর্বল ব্যাংক একীভূত হওয়ার বিষয়ে ভালো ও দুর্বল ব্যাংকের এমডিদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরুরও পরামর্শ দেওয়া হয়।

এরপর ৪ মার্চ তৎকালীন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, চলতি বছরের মধ্যে ৭ থেকে ১০টি দুর্বল ব্যাংককে সবল বা ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হতে পারে। দুর্বল ব্যাংকগুলো নিজেদের ইচ্ছায় একীভূত না হলে আগামী বছর থেকে তাদের চাপ দিয়ে একীভূত করা হবে বলে জানানো হয়। এরপর কয়েকটি ব্যাংকের একীভূতকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয় নিজেদের মধ্যে।

ইএআর/এমআইএইচএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।