নতুন ভ্যাট আইন ব্যবসাবান্ধব করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা


প্রকাশিত: ০১:২৮ পিএম, ১৪ মে ২০১৬

আগামী জুলাইয়ে বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে নতুন মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আইন। এ আইন নিয়ে বেশকিছু আপত্তি রয়েছে ব্যবসায়ীদের। আর তা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছে ঢাকা দক্ষিণ ব্যবসায়ী ফোরাম।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন ব্যবসায়ীরা।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব আবু মোতালেব বলেন, নতুন মূসক আইনের আওতায় দেশের ক্ষুদ্র শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ও খুচরা দোকান পর্যায়ে বিক্রয় মূল্যের উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাটের নামে কার্যত আবগারী শুল্ক আরোপ করায় দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য পরিমণ্ডলে অস্থিরতা ও অচলাবস্থা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পসহ (এসএমই) ব্যবসায়ী-বাণিজ্য বান্ধব নতুন মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ব্যবস্থা চালু করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছে সংগঠনটি।

এতে দেশের নাগরিক ও ভোক্তা পর্যায়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের সুদূর প্রসারী ষড়যন্ত্রে ব্যবসায়ী মহল অত্যন্ত শঙ্কিত বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে আবু মোতালেব বলেন, আপনার রাষ্ট্রনায়োকচিত নেতৃত্ব, প্রজ্ঞা এবং সুদূর প্রসারী চিন্তায় দেশ উন্নয়নের গতিধারায় আজ দেশের প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ এর মাইলফলক অতিক্রম করেছে। এই গতিধারা আরও বেগবান করে ভিশন- ২০২১ বাস্তবায়নে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বাণিজ্যে নিয়োজিত ব্যবসায়ী মহল একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

এই উন্নয়নের মহেন্দ্রক্ষণে বিভিন্ন অপরাধমূলক অপতৎপরতার মাধ্যমে শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে দেশের অগ্রযাত্রার গতিরোধ করার সুপরিকল্পিত চক্রান্তের আলামত বলেও জানান তিনি।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ১৫ শতাংশের ভ্যাট দেওয়ার সামর্থ্য নেই উল্লেখ করে আবু মোতালেব বলেন, প্যাকেজ ভ্যাট ব্যবস্থার পরিবর্তে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দেওয়ার সামর্থ ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ীদের নাই।

অর্থমন্ত্রীর বিজ্ঞ দিকনির্দেশনার সফল প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে যৌথ কমিটির সর্বসম্মত সাত দফা সুপারিশ যথাযথভাবে বাস্তবায়নেরর দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষে চারটি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সুপারিশগুলো হচ্ছে- প্যাকেজ ভ্যাট চালু, উৎপাদন পর্যায়ে ৩৬ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত টার্নওভারের উপর ৩ শতাংশ হারে কর পরিশোধের বিধান করা, রেয়াত গ্রহণে অসমর্থ ব্যক্তির করযোগ্য পণ্য বা সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ হিসাবে গণনা করে তার উপর ১৫ শতাংশ অর্থাৎ সরবরাহ মূল্যের উপর ৪ শতাংশ হারে ভ্যাট পরিশোধের বিধান করা এবং ব্যবসায়ী পর্যায়ে তালিকাভুক্ত বা তালিকাভুক্তিযোগ্য ব্যক্তিদের টার্নওয়ারের পরিমাণ নির্বিশেষে মূল্য সংযোজন ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ হিসাবে গণনা করে তার উপর ১৫ শতাংশ অর্থাৎ সরবরাহের উপর ২ শতাংশ হারে টার্নওভার কর পরিশোধের বিধান করা।

সংবাদ সম্মেলনে অারও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা দক্ষিণ ব্যবসায়ী ফোরামের সভাপতি আব্দুস সালাম, কোষাধ্যক্ষ দীন মোহাম্মদ প্রমুখ।

এসআই/একে/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।