রাইস ব্রান অয়েল রপ্তানিতে কড়াকড়ির সুপারিশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৪৩ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
রাইস ব্রান অয়েল রপ্তানিতে উচ্চহারে শুল্ক আরোপের সুপারিশ করা হয়েছে/ প্রতীকী ছবি

বাজারে যৌক্তিক মূল্যে ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিকল্প হিসেবে রাইস ব্রান অয়েলের সরবরাহ বাড়াতে চায় সরকার। যে কারণে রাইস ব্রান অয়েল রপ্তানিতে উচ্চহারে শুল্ক আরোপের পাশাপাশি রপ্তানির আগে বাধ্যতামূলক অনুমোদন নেওয়ার বিধান রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে সুপারিশসহ এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।

ওই প্রতিবেদনের সুপারিশে বলা হয়েছে, পরিশোধিত, অপরিশোধিত রাইস ব্রান অয়েলের (তেলের) সরবরাহ স্থানীয় মার্কেটে নিশ্চিত করতে রপ্তানিতে ২৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে সব ধরনের রাইস ব্রান তেল রপ্তানির আগে কমিশনের সুপারিশ সাপেক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের শর্ত যোগ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ভারতে রাইস ব্রান অয়েল রপ্তানি হয়। যে কারণে ট্যারিফ কমিশন ‘স্থানীয় বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বাড়াতে রাইস ব্রান অয়েল রপ্তানিতে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ আরোপ’ শিরোনামে প্রতিবেদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যেখানে রাইস ব্রান অয়েল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ থেকে ২০৫ টাকায়।

কমিশন বলছে, দেশে যে ২০টি মিল রয়েছে তাদের মোট উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে সাড়ে চার লাখ টন। যদিও এর পুরোটা ব্যবহার হচ্ছে না। এক সময় এ দেশ থেকে এই তেলের কাঁচামাল রাইস ব্রান রপ্তানি হতো, যেটা ঠেকাতে রাইস ব্রান রপ্তানিতে ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয় ২০১৯-২০ অর্থবছর। তবে তেল রপ্তানিতে কোনো শুল্ক নেই। যে কারণে পার্শ্ববর্তী দেশে প্রচুর পরিমাণ রাইস ব্রান অয়েল রপ্তানি হচ্ছে।

অথচ এই তেল দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানিয়েছে ট্যারিফ কমিশন।

দেশে প্রতি বছর ২২ থেকে ২৩ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। যার ৯০ শতাংশই সয়াবিন ও পামতেল আমদানি করে পরিশোধনের মাধ্যমে বাজারজাত করা হয়। অথচ অপরিশোধিত রাইস ব্রান প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে ৭ থেকে সাড়ে ৭ লাখ টন অপরিশোধিত রাইস ব্রান তেল পাওয়া সম্ভব। এই তেল পরিশোধন করে ৫ দশমিক ৬ থেকে ৬ লাখ টন পর্যন্ত তেলের সরবরাহ বাড়ানো সম্ভব, যা স্থানীয় চাহিদার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ।

কমিশনের পর্যবেক্ষণে বলা হচ্ছে, আসন্ন রমজানে ভোজ্যতেলের বাড়তি চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে রাইস ব্রান তেলের সরবরাহ বৃদ্ধি হলে সার্বিকভাবে বাজার স্থিতিশীল করার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

এনএইচ/কেএসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।