ভ্যাট আইন : সুস্পষ্ট সুরাহা চায় এফবিসিসিআই


প্রকাশিত: ১০:২৯ এএম, ১২ মে ২০১৬

আসছে জুলাই থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন ভ্যাট আইন। এ আইন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাতলুব আহমাদ। তার অভিযোগ, ভ্যাট আইন নিয়ে এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আলোচনায় যেসব প্রস্তাবনা নিয়ে উভয় পক্ষ একমত হয়েছিল তার কোনটিই ভ্যাট আইনে প্রতিফলিত হয়নি। একই সঙ্গে কর আদায়ের হার নিয়ে বিভিন্ন সময়ে জারিকৃত এসআরও নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এসব অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।

আব্দুল মাতলুব বলেন, সরকারের কাছে আমাদের দুটি দাবি। একটি হলো বাজেটের আগে যেন কোনো এসআরও জারি করা না হয়। এটা নিয়ে ব্যবসায়ীদের অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়। আরেকটি আবেদন হলো- ভ্যাট আইন নিয়ে, যেটা আগামী জুলাই থেকে কার্যকর হবে। এ আইন নিয়ে আলোচনার সময় এনবিআর এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে সাতটি প্রস্তাবনা নিয়ে একমত হয়ে সই করেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আইনে এর কোনো প্রতিফলনই ঘটেনি। আমার আবেদন হলো, কেন এটা করা হয়নি তা যেন স্পষ্ট করা হয়। এমন কী ঘটল, যে কিছুই যুক্ত করা গেল না।

তিনি বলেন, দেশের গ্যাস, বিদ্যুৎ সঙ্কট ও জিএসপি সুবিধা না থাকা সত্ত্বেও চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৭ শতাংশ অতিক্রম করবে। যদি ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত থাকে তাহলে এ উন্নয়ন প্রবৃদ্ধি আরো বাড়বে।

নতুন আইনে ভ্যাট হার ১৫ থেকে কমিয়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনাসহ ব্যবসায়ীদের যে প্রস্তাবগুলো রয়েছে সেগুলো হলো— সরবরাহের (উৎপাদন, ব্যবসা ও সেবা প্রদান) ক্ষেত্রে ৩৬ লাখ টাকা টার্নওভার পর্যন্ত কর অব্যাহতি, উত্পাদন পর্যায়ে ৩ শতাংশ পর্যন্ত টার্নওভার করারোপ, টার্নওভার করদাতার জন্য কেনা উপকরণের বিপরীতে কর রেয়াত, বার্ষিক ৩৬ লাখ টাকার বেশি টার্নওভারের পরিমাণ নির্বিশেষে ২ শতাংশ হারে মূসক আরোপ, উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণে অসমর্থ প্রতিষ্ঠানের করযোগ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে কম হারে মূসক আরোপ এবং নতুন আইনের ধারা ২ (৯৭)-এর দফা (ক)-এর আওতায় আত্মীয়স্বজনকে করদাতার খেলাপি কর আদায়ের জন্য দায়ী না করা।

নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের আগে ব্যবসায়ীদের দাবিগুলো সংযোজনের আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বশর্ত হলো কোম্পানির সচ্ছতা নিশ্চিত করা। আর যেসব কোম্পানি স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পরিচালনা করে তারা গ্রাহকদের উন্নতমানের সেবা দিয়ে থাকে।

বার্নিকাট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করতে সরকার ও বেসরকারি খাতকে এক সঙ্গে কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি।    

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইবিএফবির সভাপতি হাফিজুর রহমান খান। অন্যদের মধ্যে এতে উপস্থিত ছিলেন- আইবিএফবির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, সহ-সভাপতি হুমায়ন রশিদসহ প্রতিষ্ঠানের পরিচালকরা।

এসআই/এনএফ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।