সিঙ্গাপুর থেকে আসবে দুই কার্গো এলএনজি, ব্যয় ১৩৬৬ কোটি টাকা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫৫ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সিঙ্গাপুর থেকে দুই কার্গো তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ৩৬৬ কোটি ৬৪ লাখ ২৩ হাজার ৬৮০ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে (২০-২১ ডিসেম্বর ২০২৪ সময়ে ৩৭তম) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

পেট্রোবাংলা থেকে এক কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) স্বাক্ষরকারী চুক্তিবদ্ধ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। তিনটি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়।

দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি’র (পিইসি) সুপারিশে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুর ভিত্তিক মেসার্স ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড-এর কাছ থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ১৪ দশমকি ৫৫ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে সর্বমোট ৬৮৬ কোটি ৩৮ লাখ ৭৫ হাজার ২০০ টাকা। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ থেকে এ এলএনজি আমদানির প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়।

সভায় জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণ করে আনতর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে (২৭-২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ সময়ে ৩৮তম) এক কার্গো এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

পেট্রোবাংলা থেকে এ এক কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য এমএসপিএ স্বাক্ষরকারী চুক্তিবদ্ধ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে তিনটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তব দাখিল করে। তিনটি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়।

দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুর ভিত্তিক মেসার্স ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড -এর কাছ থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ১৪ দশমিক ৪২ মার্কিন ডলার হিসাবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৬৮০ কোটি ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ৪৮০ টাকা।

এর আগে ১৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে সিঙ্গাপুর থেকে এক কার্গো এবং সুইজারল্যান্ড থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এ দুই কার্গো এলএনজির জন্য ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ৩৫৩ কোটি ৯০ লাখ ৫২ হাজার ৮০০ টাকা।

এর মধ্যে সিঙ্গাপুর ভিত্তিক মেসার্স ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ১৪ দশমিক ১৩ মার্কিন ডলার হিসাবে এক কার্গো এলএনজি ৬৬৬ কোটি ৫৭ লাখ ৪২ হাজার ৭২০ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। আর সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক মেসার্স টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ১৪ দশমিক ৫৭ মার্কিন ডলার হিসেবে এক কার্গো এলএনজি ৬৮৭ কোটি ৩৩ লাখ ১০ হাজার ৮০ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।

এমএএস/এমএএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।