আলু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ১০ জেলায় স্মারকলিপি ও মানববন্ধন সিসিএসের

প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশিত: ০৪:১৩ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

আলুর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং আলু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ১০ জেলায় মানববন্ধন করেছে ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি’ (সিসিএস) ও এর যুব শাখা ‘কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ’ (সিওয়াইবি)। একই দাবিতে এসব জেলায় জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

আলু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ১০ জেলায় স্মারকলিপি ও মানববন্ধন সিসিএসের

সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে মুন্সিগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, নারায়ণগঞ্জ, শরীয়তপুর, নোয়াখালী, বরগুনা, খুলনা, রংপুর, মৌলভীবাজার ও কিশোরগঞ্জে এ কর্মসূচি পালন করেন সিসিএস ও সিওয়াইবির স্বেচ্ছাসেবীরা।

আলু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ১০ জেলায় স্মারকলিপি ও মানববন্ধন সিসিএসের

স্মারকলিপিতে বলা হয়, এক মাস ধরে অসাধু ব্যবসায়ীরা কোল্ড স্টোরেজকেন্দ্রিক কূটকৌশলের মাধ্যমে আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ভোক্তাসাধারণকে জিম্মি করে ফেলেছেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে মার্চ পর্যন্ত মজুতদাররা আলু সংগ্রহ করে কোল্ড স্টোরেজে রেখেছেন। ওই সময় তাদের আলুর ক্রয়মূল্য কেজিপ্রতি ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা। কোল্ড স্টোরেজে রাখার খরচ ৬০ কেজির বস্তাপ্রতি অঞ্চলভেদে ১৮০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকা।

আলু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ১০ জেলায় স্মারকলিপি ও মানববন্ধন সিসিএসের

কিন্তু কতিপয় মজুতদার, ব্যাপারী, ফড়িয়া (অধিকাংশ ব্যবসায়ী ট্রেড লাইসেন্সবিহীন) এবং সংশ্লিষ্ট কোল্ড স্টোরেজ ম্যানেজার/মালিকের যোগসাজশে অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিকভাবে মূল্য বাড়িয়ে আড়তদারদের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ভোক্তা সাধারণকে জিম্মি করে প্রতি কেজি আলু খুচরা পর্যায়ে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

সিসিএসের সংগ্রহ করা তথ্যে দেখা যায়, দেশে বার্ষিক আলুর চাহিদা প্রায় ৯০ লাখ টন। এবার আলু উৎপাদন হয়েছে এক কোটি টনের বেশি। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোল্ড স্টোরেজে ৪০ লাখ টনের বেশি আলু মজুত রয়েছে। যা বছরের বাকি সময়ের জন্য প্রয়োজনীয় চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত। কিন্তু মজুতদাররা সরবরাহ কমিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে হিমাগার থেকে বেশি মূল্যে আলু বিক্রি করছে এবং ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত পাকা রসিদ সংরক্ষণ ও সরবরাহ করছে না।

আলু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ১০ জেলায় স্মারকলিপি ও মানববন্ধন সিসিএসের

এমতাবস্থায় কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে অবৈধ বিপণন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হিমাগার ম্যানেজার, দলিল ক্রেতা-বিক্রেতা, ফড়িয়া/মধ্যস্বত্বভোগী ব্যাপারীর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত/অভিযান জোরদার করে আলুর মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে আনার অনুরোধ জানানো হয়।

বিএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।