সোর্সিং জার্নালের সামিটে পোশাক খাতের অগ্রগতি তুলে ধরলো বিজিএমইএ
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত সোর্সিং জার্নালের মর্যাদাপূর্ণ ফল সামিটে অংশগ্রহণ করেছেন। বিজিএমইএর সহায়ক কমিটির সদস্য মিরান আলীও এই সামিটে যোগ দেন।
গত ১২ নভেম্বর নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত সামিটে বৈশ্বিক পোশাক এবং সোর্সিং খাত থেকে আগত প্রধান শিল্প নেতৃবৃন্দ, বিশেষজ্ঞ এবং অংশীজনরা একত্রিত হন।
ইভেন্ট চলাকালীন মূল মঞ্চে মো. আনোয়ার হোসেন এবং মিরান আলী উভয়েরই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এসময় তারা বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের রূপান্তরের অগ্রগতি এবং দেশটিতে সাম্প্রতিক সময়ে হওয়া বৈপ্লবিক পরিবর্তনের বিষয় তুলে ধরেন।
মো. আনোয়ার হোসেন শ্রমিকদের অধিকার, পরিবেশগত সাসটেইনেবিলিটি এবং জনগণের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।
তিনি বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের আধুনিকীকরণের প্রচেষ্টা এবং একটি নিরাপদ, ন্যায্য এবং আরও টেকসই পোশাক খাত তৈরি করতে সরকার, শিল্প স্টেকহোল্ডার এবং শ্রমিকদের মধ্যে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার ওপর আলোকপাত করেন।
- আরও পড়ুন
১৬০ টাকায় গরুর মাংস-আলু-মসলা, ইলিশ-পোলাও-তেল ২৯৯
মূল্যস্ফীতি কমাতে আরও কিছুদিন সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি রাখতে হবে
মিরান আলী বৈশ্বিক ডিকার্বনাইজেশন প্রচেষ্টা এবং দায়িত্বশীল ক্রয় চর্চায় বাংলাদেশের উদীয়মান নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন। কীভাবে দেশটি পরিবেশবান্ধব উৎপাদন প্রক্রিয়া গ্রহণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করছে এবং পাশাপাশি এথিক্যাল সোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক নেতা হিসেবে অবস্থান নিয়েছে, সেটিও তিনি জোরালোভাবে তুলে ধরেন।
সামিট চলাকালে আনোয়ার হোসেন আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের (এএএফএ) সভাপতির সঙ্গে বৈঠকসহ আরও অংশীজনদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে বিজিএমইএ থেকে অব্যাহত সহযোগিতার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন।
জে ক্রু র্যাঙলার এবং টার্গেটসহ বেশ কয়েকটি বড় আমেরিকান পোশাক ব্র্যান্ড এবং প্রযুক্তি সমাধান সরবরাহকারীদের সঙ্গে দেখা করেন বিজিএমইএ প্রশাসক। এসব বৈঠকে ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কৌশলগত অংশীদারত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের পোশাক খাতের প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর নজর দেওয়া হয়।
কেএসআর/জেআইএম