আমদানি দায় দ্রুত পরিশোধের নির্দেশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২০ এএম, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

আমদানি ঋণপত্রের (এলসি) দায় পরিশোধে বিলম্ব করছে দেশের কিছু ব্যাংক। এতে দেশের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আমদানি দায় পরিশোধে বিলম্বকারীদের জন্য কঠোর অবস্থানে নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তারই পদক্ষেপ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, আগামী ৭ দিনের মধ্যে ব্যাংকগুলোর সব ওভারভিউ (মেয়াদোত্তীর্ণ এলসির দায়) পরিশোধ করতে হবে। এলসির দায় নির্ধারিত সময়ে পরিশোধে ব্যর্থ হলে তার কারণ জানাতে হবে। পাশাপাশি এলসির দায় বিলম্ব হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকেও শাস্তির আওতায় আনবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ নিয়ে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের বরাবর চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা জানান, কোভিডকালীন এলসি দায় পরিশোধে সুবিধা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন মহামারি নেই তবুও কিছু ব্যাংক দায় পরিশোধে বিলম্ব করছে। এতে দেশের সুনাম নষ্ট হচ্ছে, বেড়ে যাচ্ছে আমদানি এলসির খরচ। তাই আগামী ৭ দিনের মধ্যে সব আমদানি দায় পরিশোধ করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ব্যাংকের কাছে পর্যাপ্ত ডলার না থাকলে প্রয়োজনে ডলার কিনে দায় পরিশোধ করতে হবে। নির্ধারিত সময় ব্যাংক দায় পরিশোধে ব্যর্থ হলে তার যথাযথ কারণ জানাতে হবে। পাশাপাশি কোনো ঋণপত্র খোলার আগে গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা যাচাই করতে হবে। এলসির দায় পরিশোধে ব্যর্থ হয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকেও শাস্তির আওতায় আনা হবে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) এলসি দায় পরিশোধে বিলম্বকারীদের জন্য বেশকিছু নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, আমদানি ঋণপত্র বা এলসির দায় পরিশোধে বিলম্বের কারণে দেশের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এর ফলে আমদানি ব্যয়সহ ও বিভিন্ন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এখন থেকে এলসি খোলার আগে গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা নিশ্চিত করতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ এলসি গ্রহণযোগ্য হবে না। সময়মতো পেমেন্ট নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হলে লেনদেনের জন্য দায়ী কর্মকর্তাকে জবাবদিহিতার পাশাপাশি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইএআর/এসএনআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।