কাস্টমস আইনের ৮২ ধারা বাতিল চায় বিটিএমএ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৫৫ পিএম, ০৭ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন

চলমান ব্যবসায়িক মন্দা ও নানান বিরূপ পরিস্থিতি বিবেচনায় কাস্টমস আইন ২০২৩ এর ৮২ ধারা বাতিল বা যৌক্তিক করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)।

কাস্টমস আইনের ৮২ ধারায় পণ্য ঘোষণায় প্রদত্ত তথ্যের সঠিকতা এবং সম্পূর্ণতার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পাশাপাশি উপস্থাপিত যে কোনো দলিলের সত্যতা, প্রদেয় সব শুল্ক-কর প্রদান ও অন্যান্য চার্জের বিষয়ে বাধ্যবাধকতার কথা বলা আছে।

৮২ ধারায় সংঘঠিত অপরাধ সমূহের জন্য আইনের ১৭১ এর ১৯ ধারায় জরিমানা ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা থেকে অনাধিক ২ লাখ টাকা পর্যন্ত আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি পণ্য বাজেয়াপ্ত করার বিধান রয়েছে।

বিটিএমএর সেক্রেটারি জেনারেল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাকির হোসেনের সই করা চিঠিটি সম্প্রতি এনবিআর চেয়ারম্যানকে দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চলমান ব্যবসায়িক মন্দা সর্বোপরি বহুবিধ বিরূপ পরিস্থিতিতে সদস্য মিলগুলো যারা স্বল্প মুনাফা লাভ করে তাদের পক্ষে ৮২ ধারা সংক্রান্ত এই অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যয়ভার বহন করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। পণ্য আমদানি প্রক্রিয়ার সঙ্গে তিন বা ততধিক পক্ষ সংশ্লিষ্ট, যারা প্রয়োজনীয় তথ্য অ্যাস্যাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে প্রদান করে থাকেন। তাদের এই কার্যক্রমের ওপর আমদানিকারকের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। ফলে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করেও ইমপোর্ট জেনারেল মেন্যুফেস্টে (আইজিএম) ভুলের পরিমাণ শূন্য বা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় কমিয়ে আনা কোনোভাবেই সম্ভব হয়নি। কাজেই অন্য পক্ষের ভুলের বা পদ্ধতিগত জটিলতার দায় আমদানিকারকের ওপর বর্তানোর যৌক্তিকতা বিবেচনার দাবি রাখে।

কাস্টমস আইন ২০২৩ এর উল্লেখিত ধারায় বর্ণিত জরিমানা পুরোপুরি বাতিল অথবা যৌক্তিক পর্যায়ে করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।

এতে আরও বলা হয়, আইজিএমে যে কোনো ধরনের ভুলের জন্য বিগত এক মাসের বেশি সময় ধরে ঢাকা/চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ কর্তৃপক্ষ কাস্টমস আইন, ২০২৩ এর ৮২ ধারায় সংঘঠিত অপরাধের জন্য ওই আইনের ১৭১ ধারার ১৯ নং ক্রমিকে উল্লেখিত জরিমানা ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা আরোপ করা হয়েছে। যা নিকট অতীতেও ১০ হাজার টাকা ছিল। এছাড়া ওই আইনে একই বিষয়ে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আদায়ের বিধান থাকায় তা অদূর ভবিষ্যতে বাস্তবায়নের আশঙ্কাও রয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, শিল্প খাতের প্রকট জ্বালানি সংকটসহ নানান সমস্যার কারণে দেশের রপ্তানিমুখী অধিকাংশ কারখানা উৎপাদন সক্ষমতার ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ব্যবহার না করার ফলে ধীরে ধীরে তাদের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সংকুচিত হয়ে পড়েছে। প্রকৃতপক্ষে বর্তমানে সিংহভাগ টেক্সটাইল মিল স্থবির বা বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে।

এসএম/কেএসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।