দীর্ঘ সময় সংকোচনমূলক নীতি থাকলে প্রকৃত অর্থনীতি সংকুচিত হবে

মোঃ সামিউর রহমান সাজ্জাদ
মোঃ সামিউর রহমান সাজ্জাদ মোঃ সামিউর রহমান সাজ্জাদ , নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩৯ এএম, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

দীর্ঘ সময় ধরে সংকোচনমূলক নীতি ধরে রাখলে প্রকৃত অর্থনীতি সংকুচিত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ। তার মতে, বর্তমানে তিনটি প্রধান চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে বেসরকারি বা ব্যক্তি খাত। এগুলো হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা, জ্বালানি নিরাপত্তা ও আর্থিক মূলধন।

জাগো নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন আশরাফ আহমেদ

রিভারস্টোন ক্যাপিটাল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফ আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে স্নাতকোত্তর করেন। বিভিন্ন বহুজাতিক ব্যাংকে কাজ করেছেন তিনি, যার মধ্যে অন্যতম এএনজেড গ্রিন্ডলেস, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও এইচএসবিসি ব্যাংক। সাক্ষাৎকারে বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যক্তিখাতের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন আশরাফ আহমেদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জাগো নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক মো. সামিউর রহমান সাজ্জাদ

জাগো নিউজ: পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বেসরকারি বা ব্যক্তি খাতের বর্তমান সামগ্রিক অবস্থা সম্পর্কে আপনার মতামত কী?

আশরাফ আহমেদ: গত কয়েক বছরে বেসরকারি বা ব্যক্তি খাত অস্থির সময় অতিক্রম করেছে। বর্তমানে আমরা তিনটি প্রধান চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছি- আইনশৃঙ্খলা, জ্বালানি নিরাপত্তা ও আর্থিক মূলধন।

স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ ছাড়া আমরা আমাদের উৎপাদন সক্ষমতা বজায় রাখতে পারব না। এ উভয়ের ব্যাঘাত ব্যক্তি খাতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।

আমদানি করা কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি সুদের বোঝা বাড়াচ্ছে এবং ব্যাংকখাত থেকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের প্রবাহ কমিয়ে দিচ্ছে। পাশাপাশি নতুন নিয়ম শিগগির কার্যকর হতে চলছে। সম্মিলিতভাবে এগুলো আমাদের উৎপাদন সক্ষমতা হ্রাস করতে পারে, আর্থিক দেউলিয়াত্ব এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থার খারাপ ঋণ বৃদ্ধি করতে পারে।

এসব সংকট সমাধানের জন্য আইন প্রয়োগের পাশাপাশি শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং কারখানাগুলো চালু ও কার্যকর রাখা নিশ্চিত করতে হবে। টেকসই দামে শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসার সঙ্গে সঙ্গে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি প্রত্যাহার এবং অর্থনীতির সংকোচন এড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত। দীর্ঘ সময় ধরে সংকোচনমূলক নীতি ধরে রাখলে প্রকৃত অর্থনীতি সংকুচিত হতে পারে।

জাগো নিউজ: গত দুই মাসে রিজার্ভের ওপর চাপ কিছুটা কমেছে। আপনি এটি কীভাবে দেখছেন?

আশরাফ আহমেদ: আমদানি নিষেধাজ্ঞা এবং উচ্চতর বিনিময় হারের কারণে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। আমরা আশা করতে পারি, যদি এ প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তাহলে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল থাকবে এবং ব্যালেন্স অব পেমেন্ট চ্যালেঞ্জ শেষ হবে। এটি একটি ইতিবাচক দিক।

মার্কিন ডলারের সুদের হার ইতিমধ্যে কমছে, ফলে টাকার অবমূল্যায়ন চাপ কমবে। বিশ্বের অনেক কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি অনুসরণ করে। আমরা এ থেকে উপকৃত হবো কারণ আমাদের ব্যয় হ্রাস পাবে এবং ডলারের ঋণপ্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। স্থিতিশীল বিনিময় হারের সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতির চাপও কম হবে।

জাগো নিউজ: বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য নীতি সুদহার ৯ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করেছে। এর প্রভাব কী হতে পারে?

আশরাফ আহমেদ: ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতাদের জন্য সুদ হার ইতিমধ্যে এমন একটি স্তরে রয়েছে, যা দীর্ঘ সময় ধরে বজায় রাখা সম্ভব নয়। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য উচ্চ নীতি সুদহার স্বল্পমেয়াদে কার্যকর, তবে এটি দীর্ঘমেয়াদে উৎপাদনশীল ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

আমরা মনে করি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আর্থিক পদক্ষেপগুলো অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত, যা সাধারণত আরও কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। অসহনীয় সুদের হার এবং বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহের ঘাটতির যুগপৎ প্রভাবের ফলে খারাপ ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরিণামে ব্যাংকখাতের মূলধনের ওপর চাপ পড়তে পারে, যা আমাদের এড়ানো উচিত।

আমাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত প্রাতিষ্ঠানিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং অন্য ব্যাংকগুলো যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করা—যাতে আমানতকারীরা এবং ভালো ঋণগ্রহীতারা অন্য ব্যাংকে স্থানান্তর করতে পারেন।-আশরাফ আহমেদ

জাগো নিউজ: ব্যাংক এবং অ-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের উপায় কী কী?

আশরাফ আহমেদ: বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠনের পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ফরেনসিক অডিটের প্রক্রিয়া শুরু করেছে, যা পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার মাধ্যমে সম্পন্ন হবে—এটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এই পদক্ষেপগুলো পুরোপুরি কার্যকর হতে সময় লাগবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের মতে, প্রায় ১০টি ব্যাংকই কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অর্থাৎ বাকি ৫০টি ব্যাংক গ্রহণযোগ্য অবস্থায় রয়েছে। আমাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত প্রাতিষ্ঠানিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং অন্য ব্যাংকগুলো যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করা—যাতে আমানতকারীরা এবং ভালো ঋণগ্রহীতারা অন্য ব্যাংকে স্থানান্তর করতে পারেন।

যে ব্যাংকগুলো পুঁজি সংকটে ভুগছে বা দেউলিয়া হয়ে গেছে, তাদের পুনর্গঠন এবং সমাধানের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। যখন একটি ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যায়, তখন এটি একটি ব্যবসা পুনর্গঠনের জন্য এগিয়ে যেতে পারে, যা সুস্থ ব্যাংকগুলোর কাছে ঋণ এবং অগ্রিম ধাপে ধাপে পুনঃঅর্থায়ন বা বিক্রি করে শুরু করা যেতে পারে। এভাবে মুক্ত হওয়া তারল্য আমানতকারীদের দাবি নিষ্পত্তিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

আমরা যদি এই ব্যাংকগুলোর আকার কমাতে পারি, তাহলে সমস্যা এবং সংশ্লিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক ঝুঁকি কম হবে কিন্তু আরও ঘন হবে। তখন পুনরুদ্ধার বা পুনঃমূলধন কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ হবে।

ঋণ কমানো, খারাপ ঋণের পুনরুদ্ধার এবং দায় থেকে মুনাফা উৎপাদন ইত্যাদি এই ব্যাংকগুলোর স্বাস্থ্যের পুনরুদ্ধারের উপায় হতে পারে। এসবই একটি পুনর্গঠন পরিকল্পনার অংশ হবে, যা ফরেনসিক অডিটের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আমরা আশা করছি।

যদি ব্যবসার পরিবেশ অনুকূল হয়, তবে অর্থনীতি বৃদ্ধি পাবে। যদি এটি অনুকূল না হয়, তবে অর্থনীতি সংকুচিত হবে বা স্থিতিশীল থাকবে। ব্যবসার আস্থা বৃদ্ধির পূর্বশর্ত হিসেবে সব পরিস্থিতিতে আইনের শাসন নিশ্চিত করা দরকার।-আশরাফ আহমেদ

জাগো নিউজ: আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য যে বিনিয়োগ প্রয়োজন, তা যথেষ্ট পরিমাণে হচ্ছে না। এটি কীভাবে বাড়ানো যেতে পারে?

আশরাফ আহমেদ: যদি ব্যবসার পরিবেশ অনুকূল হয়, তবে অর্থনীতি বৃদ্ধি পাবে। যদি এটি অনুকূল না হয়, তবে অর্থনীতি সংকুচিত হবে বা স্থিতিশীল থাকবে। ব্যবসার আস্থা বৃদ্ধির পূর্বশর্ত হিসেবে সব পরিস্থিতিতে আইনের শাসন নিশ্চিত করা দরকার।

আপনি যদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন নির্দেশনার দিকে তাকান, সেটাই সরকারের উদ্দেশ্য। আমাদের শুধু এই নির্দেশনাগুলো অনুসরণ নিশ্চিত করতে হবে। সব ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে রাষ্ট্রের সংস্থাগুলো তাদের দায়িত্ব পালনে যথাযথভাবে নিয়োজিত।

দেশীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য ব্যবসার পরিবেশ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিষয়ে সরকারের একটি সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা এবং প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন। একটি দৃঢ় অর্থনৈতিক দিকনির্দেশনা ছাড়া সঠিক বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া সবসময়ই কঠিন।

আমাদের বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের নতুন আগ্রহ প্রত্যাশা করার আগে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা দেখতে হবে। নতুন কমিশন বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে, যার অনেকগুলো বাজার শাসন উন্নত করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।-আশরাফ আহমেদ

জাগো নিউজ: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচক চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থায় পৌঁছেছে। শেয়ারবাজারের ধারাবাহিক পতন কী নির্দেশ করে?

আশরাফ আহমেদ: এমন একটি পরিস্থিতিতে যেখানে সুদের হার বাড়ছে, সেখানে করপোরেট আয় হ্রাস পেতে পারে এবং মূলধন বাজারে তারল্যের প্রবাহ কমতে পারে। এটি স্বাভাবিক ঘটনা।

একই সময়ে, যখন করপোরেট আয় কমে, বাজারে মূল্য-আয় অনুপাত প্রভাবিত হয়। বাজার এই প্রত্যাশাগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য করছে এবং সাধারণত অতিরিক্ত সংশোধন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যা বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করবে।

আমাদের বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের নতুন আগ্রহ প্রত্যাশা করার আগে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা দেখতে হবে। নতুন কমিশন বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে, যার অনেকগুলো বাজার শাসন উন্নত করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

জাগো নিউজ: ২০১৯ সালের এসএমই নীতিমালা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়ের অভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের, বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের সুরক্ষার জন্য কী করা উচিত?

আশরাফ আহমেদ: ২০১৯ সালের এসএমই নীতিমালা, যা ২০২৪ সালে পুনর্বিবেচনার জন্য অপেক্ষা করছে, আরও কার্যকর হওয়ার জন্য কিছু পুনর্গঠন প্রয়োজন। নীতিমালায় বিভিন্ন উপ-খাতের বিভিন্ন চাহিদা সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী মনোযোগ দিতে হবে—যেমন, গ্রামীণ কুটির শিল্প এবং নগর উচ্চ-প্রযুক্তি সেবার স্টার্টআপগুলোর চাহিদা ভিন্ন, কিন্তু উভয় ক্ষেত্রেই মনোযোগ প্রয়োজন।

প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাগুলো আরও কার্যকর করার জন্য একীভূত করতে হবে। বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠান জড়িত যাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয় এবং বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে আছে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আমরা যে কোনো কৌশল গ্রহণ করি না কেন, তা যথাযথভাবে অর্থায়ন করা প্রয়োজন। নিশ্চিত করতে হবে যে আমাদের কৌশলে পর্যাপ্ত সম্পদ থাকবে, যাতে এটি কার্যকর হতে পারে।

আমি মনে করি আইনশৃঙ্খলা এবং স্থিতিশীলতা প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। দেশে এবং বিদেশে আস্থা বাড়ানোর জন্য ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করার দিকে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। শিল্পে টেকসই মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।-আশরাফ আহমেদ

জাগো নিউজ: বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী ধরনের স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নিতে পারে?

আশরাফ আহমেদ: আমি মনে করি আইনশৃঙ্খলা এবং স্থিতিশীলতা প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। দেশে এবং বিদেশে আস্থা বাড়ানোর জন্য ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করার দিকে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। শিল্পে টেকসই মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসার সঙ্গে সঙ্গে সংকোচনমূলক নীতির বিপরীত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

এসআরএস/এমএমএআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।