নির্মাণাধীন প্রকল্পে পানির দাম ‘সহনীয়’ করার দাবি রিহ্যাবের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৪২ এএম, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
নির্মাণাধীন প্রকল্পে পানির দাম আবাসিক-বাণিজ্যিকের মাঝামাঝি করার দাবি জানিয়েছে রিহ্যাব

নির্মাণাধীন প্রকল্পে পানির দাম আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের পানির দামের মাঝামাঝি নির্ধারণ করতে ওয়াসার কাছে দাবি জানিয়েছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ওয়াসার এমডির সঙ্গে রিহ্যাব নেতাদের বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়।

বৈঠকে রিহ্যাবের পক্ষে সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান প্রতিনিধিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, পরিচালক প্রকৌশলী মো. মহসিন মিয়া, মুহাম্মদ লাবিব বিল্লাহ ও মো. আইয়ুব আলী।

এসময় রিহ্যাব সভাপতি ৫ দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, ওয়াসা বিলে দুইটি ট্যারিফ রয়েছে, আবাসিক ও বাণিজ্যিক। নির্মাণাধীন প্রকল্পে বাণিজ্যিক হিসেবে বিল পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু নির্মাণাধীন প্রকল্পের পানি ব্যবহার ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবহার একই ধরনের নয়। এজন্য নির্মাণাধীন প্রকল্পের জন্য আবাসিক ও বাণিজ্যিক ট্যারিফের মাঝামাঝি রেট নির্ধারণের দাবি জানান তিনি।

মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, খালি প্লটে নির্মাণকালীন স্যুয়ারেজ লাইন থাকে না এবং পুরাতন স্থাপনা ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণকালীন স্যুয়ারেজ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওই সময়ে অস্থায়ী টয়লেট তৈরি করে নির্মাণকাজ পরিচালনা করা হয়। এসব ক্ষেত্রে ব্যবহৃত পানি স্যুয়ারেজ লাইনে প্রবেশের কোনো সুযোগ থাকে না। এরপরও ওয়াসাকে নির্মাণকালীন স্যুয়ারেজ ব্যবহার না করেও দ্বিগুণ হারে বিল পরিশোধ করতে হয়, যা যুক্তিযুক্ত নয়। নির্মাণাধীন প্রকল্পের জন্য স্যুয়ারেজ বাদে বিল ইস্যু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান রিহ্যাব সভাপতি।

তিনি বলেন, আবাসিক বাড়ি ভেঙে নির্মাণকাজ শুরু করলে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাণিজ্যিক রেটে মিটারের রিডিং অনুযায়ী বিল ইস্যু করে। কিন্তু নির্মাণকাজ শেষে আবাসিক হিসেবে ব্যবহার শুরু হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবাসিক বিল ইস্যু করা হয় না। এক্ষেত্রে আবাসিকে রূপান্তরের জন্য আবেদন করলে ছাদ মেপে প্রতি বর্গফুট হিসেবে বিল করে গ্রাহককে হয়রানি করা হয়। এ অবস্থায় নির্মাণকাজ শেষে ভবনের ছাদ মেপে প্রতি বর্গফুট হিসেবে বিল করার বিষয়টি বাতিল করার দাবি জানান তিনি।

রিহ্যাব নেতারা জানান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যেসব এলাকায় ওয়াসার লাইন নেই সেসব এলাকায় সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়ে নির্মাণকাজ করলেও ওয়াসা কর্তৃপক্ষ ইচ্ছেমতো বিল ইস্যু করে। যেহেতু ওয়াসা কর্তৃপক্ষের কোনো লাইনই সেখানে নেই, সেহেতু কোনোভাবেই এই বিল করা যুক্তিযুক্ত নয়।

ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ফজলুর রহমান আন্তরিকতার সঙ্গে রিহ্যাব নেতাদের দাবি শুনে বলেন, ওয়াসার নতুন বোর্ড গঠন হলে বিষয়টি এজেন্ডা আকারে উপস্থাপন করা হবে। এ বিষয়ে সন্তোষজনক সমাধানের ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তিনি।

ইএআর/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।