ই-কমার্সের পণ্য রপ্তানিতে বিশেষ ছাড় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
ই-কমার্সের পণ্য রপ্তানিতে বিশেষ ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে সর্বোচ্চ ৫০০ মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য ই-কমার্সের মাধ্যম্যে রপ্তানিতে ইএক্সপি ফরম পূরণ করতে হবে না। ক্ষুদ্র রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করতে এ ছাড় দেওয়া হয়, এতদিনে যা বাধ্যতামূলক ছিল।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ ই-কমার্সের পণ্য রপ্তানিতে বিশেষ ছাড় দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ই-কমার্স পদ্ধতির আওতায় ব্যবসা টু ভোক্তার ভিত্তিক রপ্তানির সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
২০১৮ সালে পণ্য বিদেশে প্রেরণের মূল্য প্রত্যাবাসনের শর্তে ই-কমার্স পদ্ধতির আওতায় বিজনেস টু কনজুমার ভিত্তিক রপ্তানি পদ্ধতি প্রবর্তন করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৯ সালে বিজনেস টু কনজুমার রপ্তানির ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক উপায়ে ইএক্সপি ফরম দাখিল করার ব্যবস্থা চালু হয়।
দেশ থেকে যেকোনো পণ্য বেসরকারিভাবে বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে ইএক্সপি ফরম পূরণ করা বাধ্যতামূলক। সংশ্লিষ্ট অথোরাইজড ডিলার (এডি) ব্যাংক গ্রাহকের পক্ষে ফরমের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ঘোষণা দেয়। রপ্তানিকারকদের অভিযোগ ছিল ‘রপ্তানি প্রক্রিয়ায় ১৪ ধরনের নথি দিতে হয়।’
নতুন নির্দেশনায় রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে মনোনীত এক্সপ্রেস (কুরিয়ার) প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে পণ্য সরবরাহের এবং বিল অব এক্সপোর্ট ইস্যুসহ শুল্কায়ন সম্পর্কিত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সকল খরচ রপ্তানি আয় দিয়ে নিষ্পত্তি করার শর্ত প্রযোজ্য হবে। জাহাজিকরণের পরেই বিল অব এক্সপোর্ট ও কুরিয়ার রিসিপ্টসহ রপ্তানি দলিলাদি ব্যাংকের নিকট দাখিলের পর রপ্তানি আয় রপ্তানিকারকের হিসাবে জমা করতে পারবে ব্যাংক।
ইএআর/এমআরএম/জেআইএম