ডিমের দাম বৃদ্ধি, সেটা কারসাজি: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ব্যবসায়ীরা দাবি করছিলেন ডিমের সংকট আছে। আমদানির খবরে ডিমের দাম কিছুটা কমে গেলো। তাহলে বোঝা যায় ডিমের দাম বৃদ্ধি সেটা কারসাজি। কোনো ধরনের কারসাজি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ শাখা ও বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ফরিদা আখতার, বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর ও ওয়াপসার সভাপতি মসিউর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী।
- আরও পড়ুন
- ১০০ টাকার ওপরে সবজির কেজি, ডিমের দাম কিছুটা কমেছে
- ব্যবসায়ীরা বলছেন ডিমের সংকট, সরকারের দাবি উদ্বৃত্ত
- বিশ্ব ডিম দিবস আজ
ফরিদা আখতার এ সময় আরও বলেন, ডিম সহজলভ্যতার দিক থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ডিম প্রাপ্যতার কোনো বৈষম্য থাকবে না। সব শ্রেণি-বর্ণ নির্বিশেষে, যাদের ডিম বেশি দরকার তাদের জন্য তা সরবরাহ করতে হবে।
ডিমের উৎপাদন বাড়াতে গ্রামীণ নারীদের হাঁস-মুরগি পালনে উৎসাহিত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে গ্রামীণ নারীরা হাঁস-মুরগি পালন করতেন। নিজেরা গ্রামেই পাইকারদের কাছে বিক্রি করতেন। এতে তারা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারতেন। সেই অবস্থা আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ সময় মিডিয়ার কারণেও ডিমের দাম বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, মিডিয়ায় এমনভাবে লেখা হয় তাতে বাজার অস্থির হয়ে যায়। আমরা ভোক্তারাও অস্থির হয়ে পড়ি।
তিনি বলেন, কিছু মৌসুমে প্রাকৃতিক কারণেও ডিমের উৎপাদন কমে যায়। রমজানে ডিমের ব্যবহার কমে যায়। তাই মজুদ নয় চাহিদার আলোকে কোল্ডস্টোরেজ করার চিন্তা করতে হবে। এছাড়া ডিমকে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।
এনএইচ/এসএনআর/জিকেএস