সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর

পোশাকখাত ক্ষতিগ্রস্ত হলে সব সেক্টরে প্রভাব পড়বে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:২২ পিএম, ০৫ অক্টোবর ২০২৪
সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর/ফাইল ছবি

দেশের কোনো একটি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর প্রভাব পড়বে সব সেক্টরে। আজ গাজীপুরে শ্রমিক অসন্তোষ তো কাল সাভার কিংবা আশুলিয়ায়। এভাবে নরসিংদী থেকে রংপুরে ছড়িয়ে পড়ছে। মনে রাখতে হবে দেশের ৮২ শতাংশ রপ্তানিতে অবদান রাখা পোশাকখাত সমস্যায় পড়লে অন্য খাতও নিরাপদ থাকবে না।

শনিবার (৫ অক্টোবর) মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার আয়োজিত ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাসরুর রিয়াজ, ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম খান ও শামস মাহমুদ।

সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, বিশ্বের কোন দেশে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতকে এগিয়ে নিতে সুদহার দুই অঙ্কে রয়েছে? নেই। তবে আমাদের দেশে এ খাতকে এগিয়ে নিতে ব্যাংক ঋণের সুদহার ১৫ শতাংশ। এভাবে কোনো খাতকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব না। তবে যোগ্য মানুষকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা গেলে দেশ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব, যেমনটা আমরা শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে দেখেছি। আমাদের এখানে ড. ইউনূসের ক্ষেত্রে আমরা ভালো ফল পেতে শুরু করেছি। এরই মধ্যে বিশ্বের অনেক দাতা সংস্থা ঋণ দিতে শুরু করেছে।

শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে তিনি বলেন, তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতে গুটি কয়েক মালিক বেতন দিতে পারবেন না, এর দায় দেশের ৯৫ শতাংশ শিল্প মালিকরা কেন নেবেন। আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাই এদের নিয়ে বসে সমস্যার সমাধান করুন। শ্রমিক অসন্তোষ কেন হবে। আমাদের দাবি-দাওয়া থাকতে পারে এ জন্য সমাধানের উদ্যোগ রয়েছে, বসার মাধ্যমে এটার সমাধান করা যায়। তাই বলে দাবির নামে কারখানা ভাঙচুর করা কোন যুক্তিতে, প্রশ্ন রাখেন তিনি।

কারখানায় উৎপাদন ঠিক রাখতে সরকারের প্রতি কয়েকটি প্রস্তাব রাখেন তিনি। তিনি বলেন, আমাদের পোশাকখাত ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর প্রভাব সব সেক্টরে পড়বে। এ জন্য কারখানায় উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হলে অবশ্যই স্থানীয় প্রশাসনকে নতুনভাবে কাজে লাগাতে হবে। আর্মিকে সার্বক্ষণিক অবস্থান থাকতে হবে, এতে কারখানায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানো যাবে। তাছাড়া কারখানায় হামলা-ভাঙচুর বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে হবে। কারণ দাবি-দাওয়া উঠবে এর সমাধানের পথও খোলা রয়েছে। যেসব কারখানা মালিক বেতন দিতে পারছেন না তাদের নিয়ে বসে সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি বিজনেস কমিউনিটিকে নিয়ে বসতে হবে, তাদের সঙ্গে বসার পথ তৈরি করতে হবে, যাতে সব বিষয়ে কথা বলা যায়।

ইএআর/এমএএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।