চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি
বিএসইসি ভবনে তালা লাগালো বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের দাবিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির কার্যালয়ের মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক দরপতনের প্রতিবাদে চেয়ারম্যানের পদত্যাগের এই দাবি তুলেছেন বিনিয়োগকারীরা।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা বিএসইসির মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। তার আগে বিএসইসির কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন। গতকাল বুধবারও পুঁজি হারানো বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ করেন।
শেয়ারবাজারে দরপতনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পুরাতন ভবনের সামনে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যনারে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ মানববন্ধন করেন। এরপর তারা আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনের সামনে আসেন।
বিনিয়োগকারীদের দাবি, বিএসইসি চেয়ারম্যান না বুঝে সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছেন। যার কারণে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তার পদত্যাগ খুবই জরুরি। যার কোনো বিকল্প নেই।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভের মধ্যে এক পর্যায়ে বিনিয়োগকারীরা বিএসইসি ভবনের ভেতরে প্রবেশ করতে চান। তবে বিনিয়োগকারীরা আসবে এমন খবর পেয়ে আগেই পুলিশের সহায়তা নেয় বিএসইসি। ফলে বিএসইসি ভবনে ঢুকতে না পেরে বিনিয়োগকারীরা বিএসইসি ভবনের সামনের রাস্তা অবরোধ করে। এতে করে রাস্তায় যানজট তৈরি হয়।
এদিকে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর শেয়ারবাজারে উল্লম্ফন দেখা দিলেও খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বিএসইসির চেয়ারম্যান হওয়ার পর ধারাবাহিক দরপতন চলছে। ফলে প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করা পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। দরপতনের সঙ্গে শেয়ারবাজারে লেনদন খরা দেখা দিয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সব থেকে কম লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে মাত্র ৩১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর শেয়ারবাজারে আর এতো কম লেনদেন হয়নি।
এমএএস/জেএইচ/জেআইএম