ইপিজেড শ্রম আইন সংশোধনের দাবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৪১ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শ্রম আইনের বিষয়ে আলোচনা সভা করে সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯ সংশোধনের দাবি জানানো হয়েছে। সংশোধিত আইনে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) শ্রমিকদের ইউনিয়ন করার এবং যৌথ দর কষাকষির অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়। ইউএসএআইডির অর্থায়নে পরিচালিত গ্লোবাল লেবার প্রোগ্রামের আওতায় এ আলোচনা সভা হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯ শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। এই আইনে বৈষম্য রয়েছে। ইপিজেডের বাইরের শ্রমিকরা ভেতরের শ্রমিকদের তুলনায় অনেক বেশি অধিকার ভোগ করেন।

শ্রমিক ও তাদের প্রতিনিধিরা বলেন, ইপিজেডের মধ্যে আমরা এক ধরনের কারাগারে বাস করছি। শ্রমিকরা কোনো ধরনের রাজনৈতিক বা অন্য কোনো সংগঠনে যুক্ত হতে পারে না। যা এক ধরনের অধিকার হরণ।

আরও পড়ুন

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বর্তমানে ইপিজেডগুলোতে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা ৫ লাখ ১৬ হাজার, যার ৬৬ শতাংশ নারী। ২০১২ থেকে ২০২২ পর্যন্ত অর্থবছরে ইপিজেডগুলো আয় করেছে সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলার, যা তৈরি পোশাকখাতের মোট আয়ের ৫৪ শতাংশ।

সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর মনিকা হার্টসেল বলেন, ইপিজেড শ্রমিকদের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অধিকার থাকা উচিত। তাদের সংগঠন করার অধিকার দেওয়া দরকার।

আইনজীবী সেলিম আহসান খান বলেন, ইপিজেডের শ্রমিকরা বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারে না, যা তাদের শ্রম আইন ভঙ্গের ক্ষেত্রে প্রতিকার প্রাপ্তির অন্তরায়।

সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর এ কে এম নাসিম বলেন, ইপিজেডে কর্মরত শ্রমিকদের শ্রমিক অধিকার নিয়ে কর্মরত প্রতিষ্ঠানের কাছে যেতে অনুমতি দিতে হবে। দেশের বিচারব্যবস্থায় ইপিজেড শ্রমিকদের অভিগম্যতা সীমিত। বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ তেও এর চেয়ে বেশি অধিকার আছে। ইপিজেড আইনের পরিপূর্ণ পর্যালোচনা এবং দ্রুত সংশোধন দরকার।

অনুষ্ঠানে পোশাকশ্রমিক নেতারা এবং সরকার ও পোশাক কারখানার মালিকদের প্রতিনিধিরাও বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সলিডারিটি সেন্টারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার লিলি গোমেজ।

এনএইচ/কেএসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।