আশুলিয়ার সব পোশাক কারখানা খুলবে রোববার, আজ বন্ধ ছিল ৪৩টি
রাজধানীর অদূরে আশুলিয়া অঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আজ শনিবার আশুলিয়ায় অন্তত ৪৩টি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। আগামীকাল রোববার আশুলিয়ায় সব পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিজিএমইএর পরিচালক আশিকুর রহমান তুহিন জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান। বিগত কয়েক দিনের তুলনায় শনিবার কারখানা ভাঙচুর ও অসন্তোষের সমর্থনে মিছিল কম হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পোশাক কারখানার বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে আশিকুর রহমান তুহিন বলেন, ‘গত কয়েক দিনের তুলনায় শনিবার পরিস্থিতি অনেক উন্নত হয়েছে। যদিও কিছু কারখানা বন্ধ ছিল, কিন্তু কোনো ধরনের ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের যথেষ্ট উপস্থিতি ছিল এবং তারা সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। আশা করছি আগামীকাল থেকে পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে এবং সবাই যথাযথভাবে কাজে যোগদান করবে। শ্রমিকদের কোনো দাবি থাকলে তা যথাযথ আইন অনুযায়ী মেনে নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেভাবে কাজ করছে এটা আমাদের জন্য অনেক মঙ্গল, তাদের কাজে আমরা সন্তুষ্ট। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে শনিবার কাজ করেছে এবং আগামী দিনেও তারা একইভাবে কাজ করবেন। ফলে দ্রুত সময়ে পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ ফিরে আসবে বলে আমরা আশাবাদী।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশংসা করে বিজিএমইর এই নেতা বলেন, ‘আমরা পুলিশ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমরা যথাযথ নিরাপত্তা চাই এবং তারাও নিরাপত্তা দিতে কাজ করছেন। বিজিএমইএ শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হয়। এখানে বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শ্রমিক নেতারা কাজে ফেরার আহ্বান জানানোর ফলে শনিবার পরিস্থিতি অনেক উন্নত হয়েছে। আশুলিয়ায় এক কারখানার অফিসে সেনাবাহিনী, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, কারখানার মালিকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আগামীকাল রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে আশুলিয়ার সব কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়।’
এর আগে এদিন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স ম্যানেজমেন্টে (বিআইজিএম) এক সভা শেষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের শিল্পখাতে যে অস্থিরতা চলছে তা অচিরেই কেটে যাবে।
তিনি বলেন, আমাদের মূল দায়িত্ব হচ্ছে ওদের (শ্রমিকদের) কথা শোনা। ওদের মালিকদের সঙ্গে কথাবার্তা হচ্ছে। একা পুলিশ পারবে না। সেনাবাহিনী, বিজিবি মিলে কাজ করছে। আমি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ট্রেড বডির সঙ্গে কথা বলছি। আগামীকাল ও পরশু আবার কথা হবে। ওরা (অংশীজন) সবাই আসছেন। বড় বড় যারা আছেন, তাদের যথেষ্ট মেসেজ দেওয়া হয়েছে। দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে।
শিল্পের অস্থিরতায় রাজনৈতিক দলের কোনো ইন্ধন আছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এখানে অনেক রাজনৈতিক দলও সহযোগিতা করছে। ইন্ধন যারা দিচ্ছে তাদেরও দেখা হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই আমাদের সহযোগিতা করছে।
আইএইচও/কেএসআর/জেআইএম