জনগণের সুপারিশ জানতে চেয়েছে অর্থনীতির শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি
দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরতে ১২ সদস্যের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়েছে। এবার জনগণের পরামর্শ গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে এই কমিটি। ফেসবুক, ইমেইল ও লিংড-ইনে চাওয়া হয়েছে পরামর্শ।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে গত ২৯ আগস্ট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে প্রধান করে বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর শ্বেতপত্র প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এই কমিটিতে পরবর্তীতে দেশের ১১ জন স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
এতে বলা হয়, এরই মধ্যে কমিটির সদস্যরা তাদের কার্যক্রম শুরু করেছেন। পরিকল্পনা কমিশনে অবস্থিত শ্বেতপত্র কমিটির কার্যালয়ে গত ২৯ আগস্ট এবং ৩ সেপ্টেম্বর দুটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটি কী কী বিষয়ে কাজ করবে এবং কীভাবে তারা তথ্য-উপাত্তের বিশ্লেষণের মাধ্যমে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার সংশ্লেষ ঘটাবে সে বিষয়ে সর্বশেষ সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
এই প্রেক্ষিতে আগ্রহী ব্যক্তিদের নিম্নোক্ত মাধ্যমের সহায়তায় এই কমিটির কাছে তাদের পরামর্শ এবং সুপারিশ রাখতে আহ্বান জানানো হচ্ছে। সবার সহযোগিতাতেই একটি পূর্ণাঙ্গ শ্বেতপত্র প্রকাশ করা সম্ভব হবে বলে কমিটি মনে করে।
সুপারিশ পাঠানোর মাধ্যমগুলো হলো–
ইমেইলে [email protected]
ফেসবুকে www.facebook.com/whitepaperbd2024
এবং লিংকডইনে www.linkedin.com/company/whitepaperbd2024
এছাড়াও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কমিটির কার্যালয়ে (ব্লক ৪, নিচতলা) একটি পরামর্শ বাক্স রাখা থাকবে। লিখিতভাবে এখানে পরামর্শ ও দলিলপত্রাদি জমা দেওয়া যাবে।
যেসব বিষয়ে জনসাধারণের পরামর্শ চেয়েছে কমিটি
সরকারি পরিসংখ্যানের যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা; সামষ্টিক অর্থনীতির বর্তমান চ্যালেঞ্জসমূহ; জিডিপির প্রবৃদ্ধির পর্যালোচনা; মূল্যস্ফীতির ধারা এবং তার অভিঘাত; দারিদ্র্য, অসমতা এবং বিপন্নতা; অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ; সরকারি ব্যয় বরাদ্দে অগ্রাধিকার মূল্যায়ন; বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য এবং ঋণ ধারণক্ষমতা, মেগা প্রকল্পসমূহের মূল্যায়ন; ব্যাংকিং খাতের প্রকৃত অবস্থা; জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের পরিস্থিতি; ব্যবসা-পরিবেশ ও বেসরকারি বিনিয়োগ; অবৈধ অর্থ ও অর্থপাচার; শ্রমবাজারের গতিশীলতা এবং যুব কর্মসংস্থান; বৈদেশিক শ্রমবাজার ও প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকার।
এসএম/ইএ