চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হার ১ শতাংশ
সরকারি প্রকল্পে গত অর্থবছর থেকেই হিমশিম খাচ্ছে সরকার। অর্থসংকটে অনেক প্রকল্পেই অর্থ খরচ করা সম্ভব হচ্ছে না। সদ্য শেষ হওয়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরেও ইতিহাসের সর্বনিম্ন বার্ষিক উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়ন হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরেও এডিপি বাস্তবায়নে তেমন উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনের কারণেও অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায়নি।
এডিপির জুলাইয়ের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রথম মাসে মাত্র ২ হাজার ৯২২ কোটি টাকা খরচ করতে পেরেছে সরকারের মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো। অর্থাৎ মোট বরাদ্দের ১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ খরচ করা সম্ভব হয়েছে। অথচ আগের অর্থ বছরে ২ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের পরও খরচ করতে পেরেছিল ৩ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা বা মোট বরাদ্দের ১ দশমিক ২৭ শতাংশ।
জুলাইয়ের এডিপির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, উন্নয়ন কর্মসূচিতে এবার ১ হাজার ৩৫২টি প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ২৬৩টি প্রকল্পে প্রথম মাসে এক টাকাও খরচ করা সম্ভব হয়নি।
গড় হিসাবে মোট প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে ১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি খরচ হয়েছে নিজস্ব অর্থায়ন থেকে। মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো নিজস্ব অর্থায়ন বরাদ্দের ২ দশমিক ৮১ শতাংশ খরচ করেছে। নিজস্ব অর্থায়ন থেকে বরাদ্দের এমন খরচ বেশি হয়েছিল সর্বশেষ করোনার বছরে। ওই বছর নিজস্ব অর্থায়নের ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ খরচ করেছিল মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো।
জুলাই মাসে প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হওয়া ২ হাজার ৯২২ কোটি টাকার মধ্যে সবচেয়ে কম খরচ হয়েছে সরকারি অর্থায়ন থেকে। সরকারি বরাদ্দের ১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছে প্রকল্পগুলোতে যা মোট খরচের দশমিক ৭৯ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি খরচ হয়েছে বিদেশি ঋণের প্রকল্প বরাদ্দ থেকে। এ ক্ষেত্রে খরচ হয়েছে ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা, যা মোট খরচের ১ দশমিক ২৫ শতাংশ।
অধিকাংশ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খরচের ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিলেও কয়েকটিতে খরচ তুলনামূলক বেশি হয়েছে। এর মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ৬টি প্রকল্পে মোট বরাদ্দের ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ খরচ করেছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ বা ইআরডি খরচ করেছে মোট বরাদ্দের ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ খরচ করেছে ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
এমওএস/এমআইএইচএস/জিকেএস