ডিসিসিআই সভাপতি

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়ানোর প্রক্রিয়া সাময়িক কাজ করে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৭ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০২৪
গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়ানোর প্রক্রিয়া সীমিত সময়ের জন্য কাজ করে বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসুক সেটা আমরাও চাই। সুদহার কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়ে আমরা আজ গভর্নরের সঙ্গে কথা বলেছি।’

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

ঢাকা চেম্বার সভাপতি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়ানোর প্রক্রিয়া সীমিত সময়ের জন্য, মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেলে ব্যবসায়ীদের খরচও বাড়ে। আমাদের শ্রমিকদের বেতন বাড়াতে হয়। মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য সবাইকে কষ্ট করতে হবে। তবে এসএমই খাতে অর্থায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বেশ কয়েকটি স্কিম রয়েছে। সেগুলো যদি বেগবান করা যায় তাহলে এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য ভালো হবে।’

তিনি বলেন, ‘বৈদেশিক ঋণের প্রক্রিয়া কীভাবে সহজ করা যায়, ব্যাংক ঋণের অন্যান্য ব্যাসেলগুলো কীভাবে কমানো যায়- সে বিষয়ে গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ঋণের প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য সুদের যে চাপ পড়ছে সেটা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা নিয়ে গভর্নরের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি।’

আশরাফ আহমেদ আরও বলেন, ‘এখন ব্যাংকের কু-ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারলে ঋণের সুদহার কমে যাবে। লুটেরাদের ধরতে বাংলাদেশ ব্যাংক যা করছে তার সঙ্গে একমত রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।’

ব্যাংক খাত থেকে অর্থ লোপাট ও অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাধারণ ব্যবসায়ীরা কোনো ব্যাংক (ব্যাংকের টাকা) লোপাট করেননি। কেউ যদি ব্যাংকের টাকা লোপাট করে তাহলে আমাদের মতো সাধারণ ঋণগ্রহীতাকেই সেটার খরচ দিতে হয়।’

ইএআর/কেএসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।