যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য সমস্যা দ্রুত নিরসনের আশ্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২৩ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যে চলমান সমস্যাগুলো দ্রুত নিরসনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সমস্যাগুলো নিরসনে অল্পসময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসবেন।

রোববার (২৫ আগস্ট) বেলা ১২টায় সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফাভের বৈঠক হয়। পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন উপদেষ্টা। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল এমন আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের জিএসপিসহ আরও কিছু সমস্যা আছে। ইউএস কোম্পানিগুলোও কিছু অভিযোগ ছিল, যে তারা তাদের টাকা নিতে পারছে না। আবার আমাদের অনেক কোম্পানির নিষেধাজ্ঞা ছিল যুক্তরাষ্ট্রে। আজকে আমরা এত গভীরে আলোচনা করিনি, তবে তারা বলেছে আমাদের যেসব বিষয় পেন্ডিং আছে সেগুলোর কিছু কিছু ইস্যু নিয়ে তাদের আপত্তি আছে। যেমন, শ্রম আইন। এ বিষয়ে বলেছে, এটা আমরা দ্রুতই দেখবো।

এছাড়া অন্যান্য পেন্ডিং ইস্যুগুলো দ্রুত সমাধান করবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তারা। সামনে বিশ্বব্যাংকের মিটিং রয়েছে, সেখানে এসব বিষয় নিয়ে আবার আলোচনা করবো।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হাই লেভেল ভিজিটর বাংলাদেশে আসবে। তারা আমাদের সঙ্গে আরও অন্যান্য বিষয়ে কথা বলবে। তবে কে বা কারা আসবে সে বিষয়ে কিছু বলেননি উপদেষ্টা।

জিএসপি নিয়ে কি আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জিএসপির সব শর্ত আমরা পালন করতে পারছি না। আমি এখন বক্তব্য দিয়ে দিলাম দেখা গেলো হলো না। তবে এসব কিছু এত কঠিন না আমাদের জন্য। এটাও হবে।

যুক্তরাষ্ট্র আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওরা আমাদের অধিকাংশ খাতে সহায়তা করে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে তাদের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। আপনারা দেখবেন বাগেরহাট, পিরোজপুরসহ উপকূলীয় অঞ্চলের বিনিয়োগ রয়েছে। তারা কিন্তু কৃষিখাতসহ বিভিন্ন জায়গায় সহায়তা করছে। মূলকথা হচ্ছে কৃষি, এনার্জি, জলবায়ু খাতসহ অন্যান্য খাতে আরও বেশি বিনিয়োগ করার কথা বলেছি আমি তাদের।

তিনি বলেন, বিশেষ করে বন্যার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বলেছি আজকের আলোচনায়। সবচেয়ে বেশি বেসরকারিখাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশেষ করে, বিজিএমইএ ও জিএসপি নিয়ে তাদের কিছু শর্ত আছে সেটা আপনারা জানেন। সেগুলো পালনের তাগিদ দিয়েছে।

এছাড়া এফডিআর, আমাদের রপ্তানি, বিনিয়োগ বা সরাসরি বিনিয়োগ এবং যৌথ বিনিয়োগ যদি করতে চায় তাহলে করবে। বেসিসসহ যেসব টেকনিক্যাল খাত রয়েছে সেখানে কি করা যায় সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, তারা বলেছে এতদিন নেগোসিয়েশন একটু স্লো ছিল। আমরা তাদের বলেছি, আমরা বিরাট একটা ঋণে আছি। তবে ইউএসএর সাথে আমাদের ঋণ নেই। তারা যেসব সাহায্য করেছে সবগুলো কিন্তু ঋণ নয়, গ্র্যান্ড। সেদিক থেকে তাদের ঋণে আমরা ভারাক্রান্ত না।

সেজন্য তাদের বলেছি, আমাদের সাহায্য করতে। তারা দ্রুতই সাহায্য করবে।

এনএইচ/এমএএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।