তানভীর এ মিশুক

কয়েকশ কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ এনেছে নগদ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশিত: ০৮:৪১ এএম, ২০ আগস্ট ২০২৪

প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছরে মোবাইল আর্থিক সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান নগদ কয়েকশ’ কোটি টাকার বিনিয়োগ এনেছে বলে জানিয়েছেন নগদের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর এ মিশুক। এখনো সেবা শুরু হয়নি, তারপরও এরই মধ্যে নগদ ডিজিটাল ব্যাংকে ১১২ কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ ঢুকেছে বলে জানান তিনি।

রোববার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় দেশের স্টার্টআপ কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি এক মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় দেশের তরুণ সব ডিজিটাল ব্যবসার উদ্যোক্তারা যুক্ত হয়ে নানা প্রশ্ন করেন। সাংবাদিকরাও সেখানে যুক্ত ছিলেন, তারাও নগদ সিইওকে প্রশ্ন করেন।

তানভী এ মিশুক বলেন, বেশ কয়েকটি বিশ্বখ্যাত বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান নগদ মোবাইল আর্থিক সেবা এবং নগদ ডিজিটাল ব্যাংকে বিনিয়োগ করেছে। এমন প্রতিষ্ঠান নগদে বিনিয়োগ করেছে যাদের বিনিয়োগ ফেসবুকেও (মেটা) আছে। ভারতের পেটিএম-এর একটি সিস্টার কানসার্নসহ বিশ্বের নামকরা কিছু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এখানে বিনিয়োগ করেছ। এছাড়া বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অডিম ফার্ম ডেলয়েট নগদের দৈনিক লেনদেন অডিট করে থাকে।

এক প্রশ্নের জবাবে নগদের সিইও বলেন, যাত্রার শুরুতেই বাংলাদেশের মোবাইল আর্থিক সেবার মনোপলি ভেঙে দিয়েছে নগদ লিমিটেড। এ কারণেই ধারাবাহিক নোংরা অপপ্রচারের শিকার হয়ে আসছে এই বিলিয়ন ডলারের স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানটি। আর সম্প্রতি গণঅভ্যুত্থানে দেশের ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর নগদকে নিয়ে অপপ্রচারের মাত্রা আরও বেশি হতে থাকে।

অনুষ্ঠানে একজন উদ্যোক্তা ইব্রাহিম শেখ বলেন, দেশের মোবাইল ব্যাংকিং বাজারকে প্রতিযোগিতামূলক করার কৃতিত্ব নগদের। তারপরও প্রতিষ্ঠানটির বিপক্ষে বিভিন্ন ভাতা বিতরণের ব্যাপারে আজগুবি অভিযোগ কেন করা হয়?

জবাবে তানভীর এ মিশুক বলেন, নগদ কাজ শুরু করার আগে সরকারের ভাতা বিতরণ প্রক্রিয়া ছিল অস্বচ্ছ এবং জবাবদিহিহীন। সেই সঙ্গে গ্রাহকদের বিপুল ভোগান্তি ও অর্থ ব্যয় হতো ভাতা পেতে। এক্ষেত্রে নগদ যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। ফলে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং কম খরচের কারণে নগদ সরকারের অনেক মন্ত্রণালয়ের ভাতা বিতরণের দায়িত্ব পেয়েছে। তবে সবক্ষেত্রেই উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে কাজ পেয়েছে নগদ। আর এ কারণেই প্রতিপক্ষের অপপ্রচারের শিকার হয় প্রতিষ্ঠানটি।

তানভী এ মিশুক বলেন, নগদের ই-মানি ও ফিজিক্যাল মানির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। নগদ যা ই-মানি ব্যবহার করে, তার চেয়ে বেশি অর্থ ব্যাংকে রাখা আছে। এই তথ্যে সত্যতা হিসেবে ডকুমেন্টও উপস্থাপন করেন নগদের প্রধান নির্বাহী। এছাড়া বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকে নগদ লিমিটেডের একটি টাকাও ঋণ নেই বলে প্রমাণপত্র দেখান তিনি।

নগদ বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণে বিদেশি বিনিয়োগ আনার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে কীভাবে অবদান রাখছে এবং নগদ ব্যবহারের কারণে কীভাবে গ্রাহকের ও রাষ্ট্রের প্রতি বছর কয়েক হাজার কোটি সাশ্রয় হচ্ছে, তার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন নগদ প্রধান।

একই সঙ্গে নগদের অবস্থান পরিষ্কার করে তানভীর এ মিশুক বলেন, আমরা সরকারের একটি প্রতিষ্ঠান ডাক বিভাগের সঙ্গে চুক্তি করে কাজ করছি। ফলে সব সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হয় আমাদের। আগের সরকারের সঙ্গে করেছি, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে করছি, ভবিষ্যৎ সরকারের সঙ্গেও করবো। আমাদের কোনো দলীয় সংশ্লিষ্টতা নেই, তবে আমরা সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাবো।

ইএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।