অর্থ উপদেষ্টা
জাপান নিয়ে প্রশ্ন-দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই, ভবিষ্যতে আরও প্রজেক্ট আসবে
জাপানের অর্থায়নে যেসব প্রকল্প চলছে সেগুলো চলমান থাকবে জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তাদের (জাপান) ব্যাপারে আর কোনো প্রশ্ন নেই, দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। বরং ভবিষ্যতের জন্য ওরা আরও প্রজেক্ট নিয়ে নেগোসিয়েশন করবে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টার কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আপনি যা চেয়েছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে উনারা (রাষ্ট্রদূত) কী বলেছেন? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, উনি বললেন ‘আমরা তোমাদের ব্যাপারে হ্যাপি। আমরা মনে করি এখন যারা লিডারশিপে আছে দিজ আর গুড হ্যান্ড।’ ওরা মনে করে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের স্বার্থ, জনগণের স্বার্থ।
আরও পড়ুন
- জাপানের চলমান প্রকল্পগুলোতে যেন বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়
- বর্তমান সরকারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখবো: জাপানের রাষ্ট্রদূত
তিনি বলেন, শুধু টাকা-পয়সা না, আমরা হেলথের কথাও বলেছি। ওরা বলেছে এ ব্যাপারে আমাদের যে এক্সজেস্টিং প্রজেক্ট (চলমান প্রকল্প) আছে সেটাতে সহায়তা করবে। প্রয়োজন হলে স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা খাতে আরও সহায়তা করবে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমি বলেছি বাজেট সাপোর্ট আমাদের দরকার, টাকা-পয়সা দরকার। ওরা বলেছে- এটা গ্লোবাল কন্টেক্স, বাট দে হ্যাভ নোটের ডাউন। দে উইল টক উইথ দ্য রিলেভেন্ট অথরিটি। জাপানের ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত পজেটিভ, তাদের ব্যাপারে আর কোনো প্রশ্ন বা দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। বরং ভবিষ্যতের জন্য ওরা আরও প্রজেক্ট নিয়ে নেগোসিয়েশন করবে।
বাংলাদেশে জাপানের চলমান প্রকল্পগুলো কী অব্যাহত থাকবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কিছু কিছু বড় প্রজেক্টের জন্য একনেকের মিটিং লাগবে। যেগুলো রুটিন আছে সেগুলো তো করবে।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, প্রজেক্ট যেগুলো আছে সেগুলোর তারা নিশ্চয়তা চাচ্ছে। আমি বলেছি কিছু কিছু প্রজেক্ট মূল্যায়ন করা হবে অটোমেটিকেলি এবং চলবে।
তিনি বলেন, আমরা বাজেট সাপোর্ট দেওয়ার কথা বলেছি। আমাদের ছাত্ররা জাপানে যায় স্কলারশিপ নিয়ে, আমি বলেছি ওদের টাকা-পয়সা বাড়াও।
আরও পড়ুন
- অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চান কূটনীতিকরা
- দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার সজাগ: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ওরা কিছু কিছু সংস্কারের বিষয়ে প্রশ্ন করেছেন। ব্যাংকিং সেক্টর, এনবিআর, কাস্টমস। ওরা চাচ্ছে ব্যবসার পরিবেশ। আমি বলেছি এগুলো ইমিডিয়েটলি সংস্কারের ব্যাপার আছে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতের ব্যাপারে আমি বলেছি তোমরা এখন যা দিচ্ছো অত্যন্ত ভালো। কিন্তু আমি মনে করি তোমরা সাহায্য বাড়াবে। তখন ওরা বললো- আমাদের গ্লোবাল কন্টেক্স আছে, তোমার রিকোয়েস্ট আমরা কনভে করবো।
অর্থ উপদেষ্টা আর বলেন, আমি বলেছি তোমরা প্রাইভেট সেক্টরে ইনভেস্ট বেশি কর। আড়াই হাজার (অর্থনৈতিক অঞ্চল) করছে, আমি বলেছি দ্রুত সম্পন্ন করো। প্রাইভেট সেক্টরে ইনভেসমেন্ট দরকার। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে হলে ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) লাগে।
এমএএস/এমকেআর/এমএস